লন্ডন: ঘরোয়া লিগগুলির মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে সেরা মনে করা হয়। সম্প্রচার এবং পরিবেশনার মান, দলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা, খেলার গতি সবক্ষেত্রেই লা লিগা কিংবা বুন্দেশলিগার থেকে এগিয়ে প্রিমিয়ার লিগ। করোনা ভাইরাসের কারণে তিন মাস পর ফিরেছে ইউরোপের ফুটবল। সবার শেষে ফিরেও সবার মন জয় করে নিল ইংল্যান্ডের ফুটবল প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি, আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের হত্যার ঘটনায় প্রবল বিক্ষোভ দেখা গেছিল সে দেশে। বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে ইউরোপেও। বুন্দেশলিগার এক ম্যাচে গোল করে সেলিব্রেশনের সময় জার্সি খুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ইংলিশ তারকা জ্যাডন স্যাঞ্চো। জার্সির তলার গেঞ্জিতে লেখা ছিল 'জাস্টিস ফর ফ্লয়েড'।
জার্মান ফুটবল ফেডারেশন এর জন্য জরিমানা করে স্যাঞ্চোকে। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছবি উল্টো। বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচের সব ফুটবলাররা যে জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন তার পিঠে তাঁদের নাম লেখা ছিল না। লেখা ছিল, 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার'। অর্থাৎ কালো মানুষের জীবনেরও দাম আছে। খেলা শুরুর সময় দু'দলের খেলোয়াড়েরা এবং রেফারিও এক হাঁটু মুড়ে বসে প্রতীকি প্রতিবাদ জানালেন। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।
১০০ দিন পর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় অ্যাস্টন ভিলা এবং শেফিল্ড ইউনাইটেড। এটি গোলশূন্য ড্র হয়। ভারতীয় সময় মধ্যরাতে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্সেনালের হেভিওয়েট ম্যাচ। আর্সেনালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় পেপ গুয়ার্দিওলার দল। এই ফলাফলের সব দায় কাঁধে নিয়েছেন আর্সেনাল ডিফেন্ডার দাভিদ লুইজ। প্রথম গোলটি হয় তাঁরই ভুলে। এরপর ম্যান সিটির এক খেলোয়াড়কে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন লুইজ। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন এবং লুইজকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্সেনাল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন কেভিন ডি ব্রুইনা। শেষের দিকে আরও একটি গোল করেন তরুণ ফিল ফোডেন।
ম্যাচের ফলাফল:
অ্যাস্টন ভিলা- ০, শেফিল্ড ইউনাইটেড- ০
ম্যান সিটি- ৩, আর্সেনাল- ০ (গোলদাতা- রাহিম স্টার্লিং, কেভিন ডি ব্রুইনা, ফিল ফোডেন)