ফাইনাল ম্যাচের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষার হলে খুদে গ্র্যান্ডমাস্টার, একাগ্রতার পাঠ শেখাল প্রজ্ঞানন্দ

ফাইনাল ম্যাচের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষার হলে খুদে গ্র্যান্ডমাস্টার, একাগ্রতার পাঠ শেখাল প্রজ্ঞানন্দ

নয়াদিল্লি: দাবার ঘুঁটি সাজাতে সে বরাবরই ওস্তাদ৷ তার ম্যাজিক্যাল পারফরম্যান্স দেখেছে গোটা বিশ্ব৷ চতুর চালে তিনি দু’বার পরাজিত করেছেন বিশ্বের এক নম্বর কার্লসেনকে৷ সম্প্রতি অনলাইন ব়্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা চেজেবল মাস্টার্সের পঞ্চম রাউন্ডে কার্লসেনকে পরাজিত করে আর প্রজ্ঞানন্দ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে মেল্টওয়াটার চ্যাম্পিয়ন্স চেস ট্যুর চেসবল মাস্টার্স টুর্নামেন্টের ফাইনালেও পৌছয় ভারতের এই দাবাড়ু। কিন্তু জয়ের খেতার অধরাই থেকে যায়।  তবে দিনের শেষে মন জিতে নিয়েছে তাঁর স্পোর্টসম্যান স্পিরিট৷ ফাইনালের মহাযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষার হলে গিয়ে বসে বিস্ময় কিশোর। অধ্যাবসায় কাকে বলে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ১৬ বছরের এই দাবাড়ু। 

আরও পড়ুন- সময় নেই, হচ্ছে না হানিমুন, নতুন বউয়ের সঙ্গে কী ভাবে সময় কাটচ্ছেন অরুণ লাল?

শুক্রবার ছিল চেসবল মাস্টার্সের ফাইনাল ম্যাচ। ওই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও বিশ্বের দু’নম্বর ডিং লিরেনের কাছে টাই ব্রেকারে হেরে যান প্রজ্ঞানন্দ। আর এই কঠিন লড়াইয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই একাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসে এই দাবাড়ু৷ স্থির মনে পরীক্ষাও দেয় সে৷ শুক্রবার রাত ২ টো ২০ মিনিটে ফাইনাল ম্যাচ শেষ হয়। এরপর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েই পরদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে স্কুলে পৌঁছয় প্রজ্ঞা৷ চেন্নাইয়ের এই গ্র্যান্ডমাস্টারের কথায়, “গত কয়েক দিন বেশ ধকল গিয়েছে। তবে প্রথমবার এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হল। টুর্নামেন্ট শেষ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষা হলে বসতে হল।” 

সকালে ওঠার চিন্তায় রাতে ভালো করে ঘুমই হয়নি তার৷ শিষ্যের এই একাগ্রতা আর আত্মত্যাগ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রজ্ঞার কোচ আর বি রমেশ।