ম্যানচেস্টার: ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানের মধ্যে কতটা তফাত সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেল ইংল্যান্ড। এই নতুন পাকিস্তান দলের মধ্যে এমন একটা বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে যা আগের কোনও পাকিস্তান দলে দেখা যায়নি, তা হল একতা। অধিকাংশ তরুণদের নিয়ে গড়া দলকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছেন কোচ মিসবা উল হক। সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শদাতা ইউনিস খান এবং বোলিং বিভাগের পরামর্শদাতা মুস্তাক আহমেদ আছেন। একে অপরের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয় এই তরুণ পাক ক্রিকেটাররা। ব্যাটিং এবং বোলিং বিভাগে দুর্দান্ত প্রতিভা নিয়ে বেশ ভয় দেখানো দল এটি।
বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয় দিনটা পুরোটাই কর্তৃত্ব দেখিয়ে গেল পাকিস্তান। খেলার শুরুতেই অবশ্য আউট হয়ে গেছিলেন বড় ভরসা বাবর আজম। পরপর দুটো উইকেট চলে গেলেও ভেঙে পড়েনি পাক লাইনআপ। ওপেনার শান মাসুদ এযাবত জীবনের সেরা ইনিংস খেললেন (১৫৬)। ৪৫ রান করে তাঁকে যোগ্য সহায়তা করলেন শাদাব খান। একটা সময় ইংলিশ বোলারদের ইচ্ছেমতো পিটিয়ে রান করছিলেন এই ব্যাটসম্যান। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ৩২৬ রান খাড়া করে পাকিস্তান। ইংল্যান্ড আসল ঝটকা খেল এরপরে।
পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিনশাহ আফ্রিদি এবং মহম্মদ আব্বাসের সুইংয়ের কোনও হদিশ খুঁজে পাচ্ছিলেন না জো রুটরা। মাত্র ১২ রানে তিন উইকেট চলে যায় ইংল্যান্ডের। ফর্মে থাকা বেন স্টোকসকে যে বলটায় বোল্ড করলেন আব্বাস, সেটা এই বছরের সেরা ডেলিভারি বললেও অত্যুক্তি হয় না। এরপর কিছুটা সামলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। জো রুট এবং অলি পোপ ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু যে ভাল মানের স্পিনারের অভাব বোধ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের সেই সমস্যা নেই। তাদের হাতে আছে ইয়াসির শাহের মতো বিশ্বমানের লেগস্পিনার। কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের স্নেহধন্য ইয়াসির আউট করলেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে। দ্বিতীয় দিনের শেষ ৯২ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ইংল্যান্ড। আজ তৃতীয় দিনের খেলা ঠিক করে দেবে এই টেস্ট কার দখলে যাবে।