নয়াদিল্লি: একমাসও গড়ায়নি দেশকে অলিম্পিক্সে জ্যাভেলিনে সোনা এনে দিয়েছেন নীরজ চোপড়া৷ কিন্তু টোকিওয় নীরজের বর্শায় সোনা গাঁথায় যাঁর মন্ত্র নিঃসন্দেহে টোটকার কাজ করেছে, তাঁর সেই গুরুকেই বরখাস্ত করল ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন৷ কাজে খুশি না-হওয়ার কারণে জ্যাভেলিনে ভারতের জাতীয় কোচ উয়ে হোহনকে ছাঁটাই করল তারা। হোহনের বদলে দু’জন নতুন বিদেশি কোচকে দায়িত্বে আনা হবে বলে খবর। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ক’দিন আগেই নীরজের পাওয়া সাফল্যর নেপথ্যে হোহনের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না, সেখানে কাজে অখুশি হওয়ার কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা কতটা যুক্তিযুক্ত। জল্পনা চলছে, এই ছাঁটাইয়ের অন্য কোনও কারণ নেই তো? বিশেষত, অলিম্পিক্সের আগেই যেহেতু কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন হোহন।
২০১৭ সালে জ্যাভেলিনে ভারতের জাতীয় কোচের দায়িত্ব নেওয়া হোহনকে সরানোর কারণ হিসেবে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের প্রধান আদিল সুমারিওয়ালা বলেছেন, ‘উয়ে হোহনের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট নই৷ আরও দু’জন নতুন কোচ আনা হচ্ছে।’ শটপাটের তেজিন্দরপাল সিং তুরের জন্যও নতুন কোচ খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুমারিওয়ালা৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী দিনে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে ছোটদের মধ্যে থেকে নতুন প্রতিভা তুলে আনায় নজর দিচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, নীরজ ছাড়াও শিবপাল সিং ও অনু রানির মতো অলিম্পিয়ানদের মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হোহন অলিম্পিক্স শুরুর একমাস আগে জানিয়েছিলেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে চুক্তি সই করতে হচ্ছে। উঠেছিল তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগও। তাঁর তোপ ছিল, অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য কোনও পরিকল্পনাই নেই। ঠিকমতো খাবারও পাননি অ্যাথলিটরা। এখন প্রশ্ন উঠছে, সেই বিস্ফোরণের মাশুল হিসেবেই কি ছাঁটাই হতে হল হোহনকে?
প্রসঙ্গত, অলিম্পিক্স শুরুর এক মাস আগে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন হোহন। তিনি বলেছিলেন, “অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি হওয়ার পিছনে কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ঠিক মতো খাবার দেওয়া হয়নি অ্যাথলিটদের।” এমনকি অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে চুক্তিপত্রে সই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল। এই কারণেই কি সাফল্য পাওয়ার পরেও সরিয়ে দেওয়া হল হোহনকে?