রিও ডি জেনেরিও: ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি বনাম নেইমার জুনিয়র। কোপা আমেরিকা ২০২০-এর ফাইনালে ফুটবল ভক্তদের জন্য ঐতিহাসিক মহারণ। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম কোপা আমেরিকা ফাইনালে আরও একবার মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দুই সর্বশক্তিমান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। এত বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এই প্রথম সামনাসামনি হতে চলেছেন আর্জেন্টিনীয় মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ব্রাজিলের তারকা নেইমার। দুই বন্ধুর এই দ্বৈরথ নিয়ে ইতিমধ্যেই ফুটবলপ্রেমীদের উত্তেজনা সীমা ছাড়াচ্ছে।
দীর্ঘকাল বার্সালোনায় খেলে ক্লাব ফুটবলে বার্সার জন্য কার্যত কিংবদন্তি বনে গিয়েছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে প্রায় সমস্ত ট্রফি ও সম্মান তার দখলে রয়েছে। বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়েছেন তিনি। একটি ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডও তারই দখলে। কিন্তু দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো বড় আন্তর্জাতিক ট্রফির মুখ দেখেননি লিও। ২০০৮ সালের অলিম্পিকে তারই নেতৃত্বে সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এছাড়া নীল-সাদা জার্সিতে আর বিশেষ সাফল্য নেই তার। যদিও তার নেতৃত্বে ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ এবং ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপার ফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, ১৯৯৩ সালে শেষবার কোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তারপর আর কোনো বড় ট্রফির সন্ধান পায়নি নীল-সাদা জার্সিধারীরা। তাই এবারে লিওনেল মেসি এক ঢিলে দুই পাখি মারার আশায় থাকতে পারেন লিও মেসি। আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের কাপ খরা কাটিয়ে দেশের জার্সিতে প্রথম বড় ট্রফিটা হাতে নেওয়া চেষ্টা অবশ্যই করবেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা।
লিওনেল মেসির অপরদিকে নামবেন ব্রাজিল তথা পিএসজি তারকা নেইমার। তিনিও দেশের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ট্রফি জয়ের স্বাদ পাননি। ২০১৯ সালে যখন কোপা আমেরিকা জিতেছিল ব্রাজিল তখন নেইমার চোটের কারণে দলের বাইরে ছিলেন। তাই ব্রাজিল জিতলেও নেইমারের কপালে সেই খেতাব জোটেনি। তাই তার জন্যই এটাই সবচেয়ে সেরা সুযোগ দেশের জার্সিতে বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি হাতে নেওয়ার। আর্জেন্টিনীয় মহাতারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সালোনায় বেশ কয়েকবছর চুটিয়ে একসঙ্গে খেলেছেন। তাদের দুজনের বন্ধুত্বের খবর সবসময়ই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে থাকে। এই প্রথমবার দুই বন্ধু মুখোমুখি হতে চলেছেন। তাদের দ্বৈরথ দেখার জন্য ফুটবলপ্রেমীদের উত্তেজনার সীমা নেই।