কলকাতা: না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন বাংলার ময়দানের ‘বুলডোজার’ সুভাষ ভৌমিক। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত বঙ্গ ক্রীড়া মহল। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান তো বটেই, দেশের একাধিক ক্লাবে সফলতার সঙ্গে কোচিং করিয়েছিলেন তিনি। তারও আগে তিনি ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার। এমন একজন মানুষের বিদায় মেনে নিতে পারছে না বাংলার খেলা জগৎ। ইতিমধ্যেই সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে মোহন-ইস্ট তাঁবু।
আরও পড়ুন: ময়দানের সুভাষ আর নেই, বঙ্গ ক্রীড়াজগৎ হারাল ‘বুলডোজার’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী শোক বার্তায় লিখেছেন, ”বিশিষ্ট ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের পদক জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কলকাতার তিন ক্লাবেই তিনি সমান সফল ছিলেন।” মমতা আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ‘ক্রীড়াগুরু’ সম্মানে ভূষিত করে। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি জানাচ্ছেন।
এদিকে জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই ক্লাবই সুভাষ ভৌমিককে সম্মান জানাতে একাধিক পরিকল্পনা নিচ্ছে। দুই ক্লাব তাঁর জন্য স্মরণসভা আয়োজন করবে। লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টের সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের স্মরণসভা আয়োজন করা হবে। কোভিড বিধি মেনেই সব হবে। এছাড়াও তাঁর স্মৃতি নিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত জানান, আগামী মাসেই ৩ বা ৪ তারিখ তারা একটি স্মরণসভা আয়োজন করবেন বলে ঠিক করেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে প্রথম জর্জ টেলিগ্রাফের কোচ হন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৯১ সালে মোহনবাগান, তারপর ১৯৯৯-২০০০ এবং ২০০২-২০০৫ এবং ২০০৮-২০০৯ সালে লাল-হলুদের কোচ ছিলেন তিনি। তাঁর কোচিংয়েই ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ জেতে ইস্টবেঙ্গল।