বার্সেলোনা: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অফ ১৬-এর প্রথম লেগে প্যারিস সাঁ জাঁ-এর কাছে ৪-১ গোলে পরাস্ত হল বার্সেলোনা। নেইমারহীন ফরাসি ক্লাবের কাছে কার্যত ধরাশায়ী হল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। কিলিয়ান এমবাপের দুরন্ত হ্যাটট্রিকের হাত ধরে জয়ের রাস্তা খুঁজে নিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। প্রথমার্ধের শুরুতে লিও মেসির অনবদ্য গোলে এগিয়ে গিয়েও ঘরের মাঠে হতাশ হতে হল রোনাল্ড কোম্যানের দলকে।
মঙ্গলবার চোটের কারণে দলে ছিলেন না প্যারিস সাঁ জাঁ-এর দুই তারকা নেইমার এবং অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। অন্যদিকে সর্বশক্তি দিয়ে এদিন ঘরের মাঠে নেমেছিল বার্সা। চোট সারিয়ে বহুদিন পর দলে ফিরে ছিলেন দলের রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসা জেরার্ড পিকেও। তাও তরুণ কিলিয়ান এমবাপের গতির কাছে পরাস্ত হতে হল বার্সার গোটা রক্ষণবিভাগকে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দুরন্ত শটে জালে বল জড়িয়ে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সেই লিড পাঁচ মিনিটও ধরে রাখতে পারল না স্প্যানিশ ক্লাব। ৩২ মিনিটের মাথায় অনবদ্য গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান কিলিয়ান এমবাপে।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। গোটা দ্বিতীয়ার্ধে ন্যু ক্যাম্প কার্যত শাসন করে বিদেশি অতিথি ক্লাব। ৬৫ মিনিটে এমবপের দ্বিতীয় গোল। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। কিছু বুঝে উঠার আগেই ৭০ মিনিটের মাথায় মইজ কিন ফরাসি ক্লাবকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন। একদম শেষবেলায় মেসির বয়স যখন ৮৫ মিনিট, তখন হ্যাটট্রিক করে বার্সার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন এমবাপে। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ৪-১ গোলে পরাস্ত হয় বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে ফের অসাধ্য সাধন করতে হবে লিও মেসি দের। প্যারিস সাঁ জাঁকে তাদের মাঠে গিয়ে ৫-০ গোলে হারাতে হবে।
যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৬-১৭ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরে গিয়েও সেকেন্ড লেগে ৬-১ গোলে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন হয় বার্সার। এবারের ছবিটাও খানিকটা একই। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে প্যারিস সাঁ জাঁকে কম করে ৫ গোলে হারাতে হবে মেসিদের।