লন্ডন: ৩০ বছর ধরে এই দিনটার আশায় বুক বেঁধে রেখেছিলেন লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের, সভ্য, সমর্থক থেকে প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা। এর মধ্যে বার দুয়েক ইউরোপ সেরা হলেও, ইংলিশ লিগ খেতাব জয় রয়ে গিয়েছিল অধরাই। এই মরসুমে সাত ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হল জুরগেন ক্লপের লিভারপুল। কেনি ড্যালগ্লিশ থেকে স্টিভেন জেরার্ড, জেমি ক্যারাঘার থেকে মাইকেল আওয়েন, আবেগে, উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছেন লিভারপুলের সব প্রাক্তন কিংবদন্তিই।
এর আগে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ঘরের মাঠে চূর্ণ করার পর খেতাবের দিকে এক পা বাড়িয়েইছিলেন সালাহ-মানে-ফিরমিনোরা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যান সিটি হারলেই ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে যেত। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) চেলসির কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় পেপ গুয়ার্দিওলার সিটি। তারপরেই পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লিভারপুল সমর্থকরা উৎসব শুরু করেন। ৩০ বছর পর খেতাব জিতলে তাতে আবেগের বহিপ্রকাশ তাতে আর আশ্চর্য কী।
বর্তমানে ২০ দলের যে ফর্ম্যাটে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ অনুষ্ঠিত হয় তা শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। অর্থাৎ, সেদিক থেকে দেখলে এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগ জিতল লিভারপুল। এই প্রতিযোগিতার ২৮ বছরের ইতিহাসে অবিশ্বাস্য ১৩ বার খেতাব জেতার রেকর্ড রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এরপর ম্যান সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, ব্ল্যাকবার্ন এমনকী লেস্টার সিটি খেতাব পেলেও ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি লিভারপুল। অবশেষে জার্মান কোচ ক্লপের হাত ধরে এল সেই বহু-প্রতীক্ষিত মাহেন্দ্রক্ষণ।
পাঁচ বছর আগে জুর্গেন ক্লপ লিভারপুলের হাল ধরার পরেই চিত্রটা বদলাতে শুরু করে। তাঁর ফুটবল দর্শনে ভর করে ‘হাই-প্রেসিং’ ফরমুলা বিখ্যাত হয়। বলের দখল নিতে প্রতিপক্ষকে শেষ মিনিট অবধি তাড়া করে যাওয়া, এবং বল দখলে এলেই আকর্ষণীয় পাসিং এবং দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ম্যাচ জেতা, এই ছিল লিভারপুলের খেলার ধরন। এই দিয়েই একের পর এক প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে খেতাব মুঠোয় পুরল লিভারপুল।