কলকাতা: ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্তিনার রোজারিও শহরে জর্জ মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির সংসারের তৃতীয় সন্তান হয়ে জন্মগ্রহণ করেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। কিন্তু ফুটবল তারকা হওয়া তো দূর, একসময় শারীরিক জটিলতা এমন ছিল যে ফুটবল খেলাটা হয়তো স্বপ্নই থেকে যেত মেসির। কিন্তু সব বাধা টপকে আজ বিশ্ব ফুটবলের যাবতীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। নিজের ৩৬ তম জন্মদিন তাই তাঁর কাছে ভীষণ স্পেশ্যাল।
ছোটবেলায় গ্রোথ হরমোন জনিত জটিলতা দেখা দিয়েছিল মেসির। স্বাভাবিক শিশুদের মত একদমই ছিল না তাঁর দৈহিক গঠন। ১১ বছর বয়সে এই ধরনের সমস্যা ধরা পড়ার পর তাঁর বাবা-মা কার্যত খেই হারিয়ে ফেলেন। মেসির চিকিৎসার খরচ ছিল প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কী ভাবে জোগাড় হবে তার কোনও ইয়ত্তা ছিল না মেসির পরিবারের কাছে। তবে কিছু একটা করার তাগিদ নিয়ে মেসি ২০০০ সালে চলে আসেন বার্সেলোনায়। এই ফুটবল ক্লাব মেসির প্রতিভা চিনে নিতে দেরি করেনি। তারাই মেসির চিকিৎসার ভার নেন। এরপর থেকেই শুরু হয় মেসি-বার্সেলোনা যুগ।
ক্লাব, আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় সবই পেয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু একটা ট্রফিতে হাত ছোঁয়ানো বাকি ছিল। তা হল বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে সেই স্বপ্ন একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর। তাই ২০২২ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে আলাদারকম উন্মাদনা ছিল। দেশের জার্সিতে মেসি সেইভাবে সাফল্য পাননি বলে নিন্দা করত সমালোচকরা। তবে ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা এবং পরে ফাইনালিসিমা জিতে একটু স্বস্তি পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু আসল ট্রফি পাওয়া বাকি ছিল। সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন ২০২২ সালে।