মহিলাদের বিশ্বকাপে জাতীয় দলে বাংলার ঝুলন-রিচা, আবেগে ভাসছে বাঙালি

মহিলাদের বিশ্বকাপে জাতীয় দলে বাংলার ঝুলন-রিচা, আবেগে ভাসছে বাঙালি

কলকাতা:  চলতি বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই ১৫ সদস্যের ভারতীয় দলের নাম ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় মহিলা দলের নেতৃত্বে থাকবেন মিতালি রাজ৷ সহ-অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর৷ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে স্থান পেয়েছেন বাংলার দুই মেয়ে৷ ঝুলন গোস্বামী এবং রিচা ঘোষ৷ উইকেটকিপার হিসাবে নেওয়া হয়েছে রিচাকে৷ 

আরও পড়ুন- করোনা পজিটিভ হলেও ওমিক্রন-নেগেটিভ সৌরভ, বর্ষশেষে ফিরছেন বেহালার বাড়িতে

৬ মার্চ থেকে বে ওভালে ব্যাট-বল হাতে বিশ্বকাপ অভিযানে নামবেন ভারতের মেয়েরা। প্রথম ম্যাচেই তাঁদের বিরুদ্ধে থাকবেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। খেলা হবে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে৷ অর্থাৎ প্রত্যেক দেশই প্রত্যেক দেশের সঙ্গে খেলবে৷ ২২ গজে বাংলার দুই মেয়ের দাপট দেখার অপেক্ষায় বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা৷ 

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর বাংলার ক্রিকেটে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম ঝুলন গোস্বামী৷ বহু কিশোরী-তরুণীর অনুপ্রেরণা তিনি৷ ঝুলন গোস্বামী ওরফে ঝুল দি’ই আগামী প্রজন্মের কাছে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর৷ ১৯৮২ সালের ২৫ নভেম্বর নদিয়ার চাকদায় জন্ম ঝুলনের৷ চাকদার অলিগলিতে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেই বেড়ে ওঠা তাঁর৷ তিনিই এখন মহিলা ক্রিকেটের স্টার৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর মহিলা ক্রিকেট দলে সবচেয়ে বেশি খেলেছেন ঝুলনই৷

তবে প্রথম জীবনে অনেকটাই কষ্ট করতে হয়েছে তাঁকে৷ চাকদার মতো ছোট্ট শহরে খেলার সুযোগ সেভাবে ছিল না৷ প্রতিদিন চাকদা থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে ক্রিকেট শিখতে ও প্র্যাকটিস করতে কলকাতায় আসতেন ঝুলন৷ সেখান থেকেই এক সময় তিনি হয়ে উঠলেন চাকদা এক্সপ্রেস৷ উল্লেখ্য, অনেকেই ঝুলনকে এই নামে ডাকেন৷

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০-র বেশি উইকেট রয়েছে পেস বোলার ঝুলনের৷ একদিনের ক্রিকেটে রয়েছে ২০০-র বেশি উইকেট৷ এক সময় ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বও করেছেন তিনি৷  একদিনের ক্রিকেটে এখনও ফর্মে রয়েছেন ঝুলন৷ দীর্ঘ ক্রিকেটীয় জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি৷ তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অর্জুন ও পদ্মশ্রী অ্যাওয়ার্ড৷ সেই সঙ্গে আইসিসি’র বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন চাকদা এক্সপ্রেস৷ 

অন্যদিকে, জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত আরও এক বঙ্গতনয়া৷ তিনি রিচা ঘোষ৷ জন্ম শিলিগুড়িতে৷ মেয়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে জানার পরই চোখের কোনটা চিকচিক করে উঠেছিল তাঁর মায়ের৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র চার বছর বয়সে তাঁর ক্রিকেটে হাতেখড়ি৷ ছোট থেকে পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ক্রিকেট খেলতেন রিচা। খেলার প্রতি মেয়ের আগ্রহ দেখেই তাঁকে বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবে ভর্তি করে দেন তাঁর বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী৷ তাঁর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে কলেজে পড়ুয়া। ছোট মেয়ে রিচা ক্রিকেটার৷ মানবেন্দ্র নিজেও একসময় ক্লাব পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন৷ মেয়ের খেলা নিয়ে শুরু থেকেই তিনি উচ্ছ্বসিত৷ 


 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =