রোম: শুরুতে খুবই নড়বড়ে দেখাচ্ছিল বার্সেলোনা ডিফেন্সকে। ১৫ মিনিটের মধ্যে অন্তত দুটো সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় লেগানেস। প্রথমবার বার্সা ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে, পরের বার বাইরে মারে লেগানেস ফরোয়ার্ড। এরপরেই খেলা ধরে নেন মেসিরা। বলের দখল সিংহভাগ তাদেরই ছিল। অবশেষ বিরতির ঠিক আগে প্রথম গোলটি করে যান ১৭ বছর বয়সি আনসু ফাতি। বার্সা অ্যাকাডেমির এই ছাত্রের ওপর ইতিমধ্যেই ইউরোপের বেশ কিছু বড় দলের নজর পড়েছে। তবে এদিনও মেসি ছিলেন মেসির মতোই। ডিফেন্স চেরা থ্রু পাস, অনায়াসে বিপক্ষের দু’তিন জনকে টপকে যাওয়া, এখনও সবই রয়েছে ৩২ বছরের জাদুকরের পায়ে।
তাঁর ড্রিবল সামলাতে না পেরেই বক্সের মধ্যে ফাউল করেন এক লেগানেস ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টি দেন এবং ঠান্ডা মাথায় গোল করে যান লিও মেসি। এরপরে খেলা পুরোপুরি দখলে চলে যায় বার্সার। লেগানেসকে ম্যাচে ফেরার আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই জয়ে খেতাবের আরও কাছে চলে গেল বার্সেলোনা। ২৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ এক ম্যাচ কম খেলে ৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। সুতরাং পরিস্থিতি টানটান।
তিনমাস পরে মাঠে নেমেও যখন গোল করে চলেছেন লিওনেল মেসি সেখানে ফিরতি ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রভ দেখিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। এসি মিলানের বিরুদ্ধে তাঁকে বলতে গেলে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। পেনাল্টি মিস করেছেন তার ওপর। বুধবার (১৭ জুন) রাতে নাপোলির বিরুদ্ধে কোপা ইটালিয়ার ফাইনালে তাঁর পরীক্ষা। তবে আশার কথা এই যে, বড় ম্যাচ মানেই জ্বলে ওঠেন সি আর সেভেন। জমজমাট ফাইনালে তিনি ফের স্বমহিমায় ফিরবেন এই প্রত্যাশায় রয়েছেন রোনাল্ডো-ভক্তরা। তাঁর দিকে তাকিয়ে জুভেন্তাস দলে তাঁর সতীর্থরাও।