ক্রাইস্টচার্চ: মসজিদ থেকে তাঁদের দূরত্ব ছিল বড় জোর ৫০ গজ। আর কয়েক মিনিট আগে সেখানে পৌঁছলে কী হতে পারত, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তামিম-মুশফিকরা।
শুক্রবার নামাজ পড়তে আর একটু আগে মসজিদে গেলে জঙ্গি হামলার মধ্যে পড়তে হতো তাঁদের। তৈরি হতে পারত ভয়াবহ পরিস্থিতি। বর্তমানে নিরাপদে থাকলেও আতঙ্ক গ্রাস করেছে ‘টাইগার’ বাহিনীকে। হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে আল নুর মসজিদে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টা নাগাদ জঙ্গি হামলা হয়। অনুশীলন শেষে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারের।
কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য মসজিদে যেতে দেরি হয়ে যায়। আর তাতেই বেঁচে যান মুশফিক-তামিমরা। ভয়াবহ এই হামলার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট। জানা গিয়েছে, টিম হোটেল থেকে বাসে করে মসজিদে যাচ্ছিলেন তামিমরা। ক্রিকেটাররা ছাড়াও সেখানে ছিলেন ট্রেনার মারিও ভিলাভারায়ন, পারফরম্যান্স অ্যান্যালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন ও কয়েকজন সাংবাদিক। কিন্তু মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় এক মহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জঙ্গি হামলার কথা জানান। আতঙ্কিত খেলোয়াড়রা তড়িঘড়ি হ্যাগলি ওভালে ফিরে আসেন।