কলকাতা: ২০১৯ সালের পর আর ডার্বি জেতেনি ইস্টবেঙ্গল! আবেগ দিয়ে ভাবলে চূড়ান্ত খারাপ লাগলেও খাতায়-কলমে এটাই সত্যি। টানা ৮ বার মোহনবাগানের কাছে পরাস্ত হওয়ার জ্বালায় জ্বলছে লাল-হলুদ সমর্থকরা। শেষ তিন বছরে বারবার টিম বদলেছে, কোচ বদলেছে, তবে ফলাফল সেই একই। জেতা তো দূর, শেষ ৮ ডার্বিতে বাগানের বিরুদ্ধে সেইভাবে গোলও করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ১০৪ বছরের ইতিহাস এমন কবে হয়েছে জানা নেই। তবুও শনিবারের ডার্বি জ্বর কাবু করছে বাঙালিকে। যতই হোক, খেলাটা মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল।
ময়দান সম্পর্কে যারা খবর রাখেন তারা জানেন, অতীতের কোনও পরিসংখ্যান এই একটা ম্যাচের জন্য প্রযোজ্য নয়। এই দিনে যে ভালো খেলবে, যে নিজের স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে তারাই জিতবে। তাই জন্যই তো এই ম্যাচের উন্মাদনা কোনও দিন কম হয় না। আগের হারা-জেতা ভুলে সকল সমর্থকরা নিজ নিজ দলের জন্য মাঠ ভরায়। এবারেও ঠিক তেমনটাই হচ্ছে। শেষ তিন বছরে ডুরান্ড এবং আইএসএল মিলিয়ে একটিও ডার্বি জেতেনি লাল-হলুদ। সমর্থকদের হতাশা এখন সব বাধা পেরিয়ে গিয়েছে। আগামীকালও যে ম্যাচ জেতা বা ড্র করাও সহজ নয়, সেটাও তারা ভালো জানে। তবুও মাঠ ভরবে শনিবার।
ধারে ভারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট সত্যিই ‘জায়েন্ট’। গতবারের থেকেও শক্তিশালী এবারের দল। সদ্য বিশ্বকাপার কামিন্স থেকে শুরু করে আলবেনিয়ান হিরো সাদিকু, দেশের মাঝমাঠের অন্যতম দুই স্তম্ভ সাহাল, থাপা, ডিফেন্সে আনোয়ার আলি… আর আগের মরশুমের পরীক্ষিত প্লেয়াররা তো আছেই। উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি সেই আগের তিন বছরের মতোই। নতুন দল, কোচ, অল্প দিনের প্র্যাকটিস। তবে এবারের দল তুলনামূলক ভালো। তাই তারা কতটা ‘ফাইট’ দিতে পারে এটাই দেখার। ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, শনিবারের ডার্বি যদি ইস্টবেঙ্গল ড্র-ও করতে পারে তাহলেও তাদের নৈতিক জয় হবে। কিন্তু ড্র করতে কি মাঠে নামে ইস্টবেঙ্গল? জিতে মাঠ ছাড়াই তাদের শোভা পায়। তাই আগামীকাল আবার বিরাট পরীক্ষা মশালবাহিনীর।