নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা যে কোনও খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন। এর জন্য চাই প্রতিভা, অনুশীলন এবং আত্মত্যাগ। তবে বিশ্ব ক্রিকেটে এমন কিছু ক্রিকেটারও আছেন যাঁরা নিজের দেশের নয়, অন্য দেশের হয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে এর জন্য তাঁদের ঠিক 'বিশ্বাসঘাতক' বলা যায় না। আসুন দেখে নেওয়া যাক পাঁচ জন ক্রিকেটারকে যাঁরা জন্মেছেন এক দেশে অথচ খেলেছেন অন্য দেশের হয়ে।
১) কেভিন পিটারসেন: ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হলেন পিটারসেন। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত এই ক্রিকেটারের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটেও বেশ কিছুদিন খেলেছেন তিনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ইংল্যান্ডে চলে আসেন পিটারসেন। এরপর ইংলিশদের হয়েই কেরিয়ার শেষ করেন তিনি।
২) জেসন রয়: পিটারসেনের মতোই জেসন রয়ও দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মেছিলেন। কিন্তু ১০ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে চলে আসেন তিনি। অবশ্য তার আগেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছে। ইংল্যান্ডে এসে ধীরে ধীরে জাতীয় দলে ওপেনারের জায়গা পাকা করেছেন তিনি।
৩) জোফ্রা আর্চার: বর্তমানে ইংল্যান্ডের সব থেকে দ্রুত গতির বোলার জোফ্রা আর্চারের জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে। ১৮ বছরের পরে ইংল্যান্ডে আসায় ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গেলে সাত বছর অপেক্ষা করতে হত তাকে। কিন্তু ইংল্যান্ড বোর্ড থেকে সময়সীমা কমিয়ে তিন বছর করে দেওয়ায় জাতীয় দলে সুযোগ পান আর্চার।
৪) বেন স্টোকস: আরও এক ক্রিকেটার যার জন্ম ইংল্যান্ডে না হলেও ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। ইংলিশদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কিন্তু স্টোকসের জন্ম আদতে নিউজিল্যান্ডে। স্কুল পর্যায়ে সেখানে খেলেও ছিলেন তিনি।
৫) ইমরান তাহির: পেসারদের জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুরন্ত কেরিয়ার এই লেগস্পিনারের। কিন্তু তাঁর জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে। সেখানে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন তাহির। কিন্তু তারপর ইংল্যান্ডে গিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তাঁর প্রতিভা দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা নাগরিকত্ব দেয় এবং জাতীয় দলে সুযোগ দেয়।