রুদ্ধশ্বাস ম্যানচেস্টার টেস্টে ইংল্যান্ডের ত্রাতা বাটলার-ওকস জুটি, বিফলে ইয়াসিরের লড়াই

হাতে আর ৫০-৬০ পেলে হয়তো ম্যাচ পাকিস্তানের দিকে নিয়ে যেতে পারতেন লেগস্পিনারটি। কিন্তু দিনটা ছিল ক্রিস ওকসের। শেষ পর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরলেন তিনি। বল হাতে উইকেট এবং এই মহা মূল্যবান রান করে তিনিই ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

ম্যানচেস্টার: টি-টোয়েন্টির রমরমার যুগেও প্রমাণিত হল টেস্ট ক্রিকেট ইজ বেস্ট ক্রিকেট প্রবচনটি। রুদ্ধশ্বাস ম্যানচেস্টার টেস্টে তিন উইকেটে জিতল ইংল্যান্ড। অথচ তৃতীয় দিনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ম্যাচে চালকের আসনে ছিল পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসের ১০৭ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল আজহার আলি অ্যান্ড কোং। ৩৫০-র আশেপাশে টার্গেট খাড়া করতে পারলেই চাপে পড়ে যেত ইংল্যান্ড। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। জো রুটদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৪৪। হাতে প্রায় দু'দিন সময়। সেই রান উঠে গেল একদিনেই। সৌজন্যে ক্রিস ওকস এবং জস বাটলারের অবিস্মরণীয় ইনিংস। 

ম্যাচ জিতে উল্লাস ক্রিস ওকস এবং ডম বেসের। 

এই পাকিস্তান দলটায় কিন্তু প্রতিভার অভাব নেই। শাহিন আফ্রিদি, মহম্মদ আব্বাস, নাসিম শাহরা বয়সে নবীন হলেও যথেষ্ট চেষ্টা করলেন। সঙ্গে অভিজ্ঞ লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ তো ছিলেনই। কিন্তু কম রানের লক্ষ্যমাত্রা থাকায় ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা অনেক ধরে খেলতে পারছিলেন। তা সত্ত্বেও অল্প রানে পাঁচ উইকেট চলে যায় তাদের। প্যাভিলয়নে ফেরত চলে যান জো রুট, বেন স্টোকস, অলি পোপরা। তখনও লক্ষ্য থেকে ১৫০ রান দূরে ইংল্যান্ড। এরপর ক্রিস ওকসকে নিয়ে ইনিংস গড়তে শুরু করেন জস বাটলার। ইয়াসির শাহকে সামলে অনেকটা ওয়ান ডে-র মেজাজেই রান তোলা শুরু করে এই জুটি। বল পুরনো হয়ে পড়ায় পাক পেসারদের বল সেরকম সুইং করছিল না। একমাত্র বিপজ্জনক দেখাছিল ইয়াসিরকেই। বাটলারকে ফেরালেন তিনিই। এরপর স্টুয়ার্ট ব্রডকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ইয়াসির। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। 

পাকিস্তানের হয়ে একা লড়লেন ইয়াসির শাহ। 

হাতে আর ৫০-৬০ পেলে হয়তো ম্যাচ পাকিস্তানের দিকে নিয়ে যেতে পারতেন লেগস্পিনারটি। কিন্তু দিনটা ছিল ক্রিস ওকসের। শেষ পর্যন্ত মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরলেন তিনি। বল হাতে উইকেট এবং এই মহা মূল্যবান রান করে তিনিই ম্যান অব দ্য ম্যাচ। দর্শক হিসেবে ম্যাচ উপভোগ করা গেলেও হতাশ হবেন পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলি। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংকে দোষা ছাড়া আর কীই বা করবেন তিনি। তবে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়েও উঠেছে কিছু প্রশ্ন। যখন স্পিন কাজে দিচ্ছে তখন পেসারদের দিয়ে কেন বল করিয়ে গেলেন এই প্রশ্নের উত্তর টিম ম্যানেজমেন্টকে দিতে হবে তাঁর।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + sixteen =