রোম: এককালে রোমের কলোসিয়ামে ভয়ঙ্কর সব হাড্ডাহাড্ডি যুদ্ধ হত। কিন্তু শনিবার রাতে সেই রোমেরই ওলিম্পিকো স্টেডিয়ামে লড়াইটা কেমন একপেশে আর ফ্যাকাশে হয়ে গেল। একপক্ষ একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে অপরপক্ষকে এক মুহূর্তের জন্যও দাঁড়াতে দিল না। কথা হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ইউক্রেনের। ইউরো কাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে শনিবাসরীয় রাতে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ইউরো কাপের অন্যান্য অপেক্ষাকৃত ‘ছোট’ দলগুলির বিশ্বমানের লড়াই দেখে একটা ধারণা হয়েছিল যে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও পাল্টা লড়াই দেবে ইউক্রেন। কিন্তু সেসব কিছুই হল না। গ্যারেথ সাউথগেটের দল ইউক্রেনকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে ৪-০ গোলে হারিয়ে দিল।
এদিন হ্যারি কেনরা প্রথম থেকেই একাগ্রভাবে জেতার উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল। খেলা শুরুর মুহূর্ত থেকেই তারা ইউক্রেনের অর্ধে চাপ বাড়ায়। তার ফলাফলও মেলে একদম শুরুতেই। ৪ মিনিটের মাথায় থ্রি লায়ন্সদের হয়ে প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। প্রথমার্ধ এই গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু বাঁশি বাজার পরমুহূর্তেই আবার গোল। এবার ইংলিশ সেন্টার ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইরে। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রিটিশরা। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ৫০ মিনিটে আবার জোরালো ইংরেজ হানা ইউক্রেনের তিনকাঠিতে। আবার সেই অধিনায়ক হ্যারি কেন। টটেনহ্যামের তারকার গোলে এবার ৩-০ এগিয়ে যায় থ্রি লায়ন্সরা।
৩-০ গোলে জিতলেও ইংল্যান্ডের কাছে সেটা বেশ বড় জয় হত। কিন্তু সাউথগেটের ছেলেরা ততক্ষণে গোলের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। তৃতীয় গোলের ১৩ মিনিট পরে পরিবর্ত হিসেবে নামা জর্ডন হেনডারসন চার নম্বর গোলটি করে ইউক্রেনের জন্য ইউরো যাত্রায় সমাপ্তি ঘটান। এদিনের খেলায় ইউক্রেন বেশ অনেকটা সময় বলের দখল নিজেদের কাছে রেখেছিল এবং প্রায় ইংরেজদের সমান ছোট ছোট পাস খেলেছে। কিন্তু ঠিক করে গুছিয়ে কোনো আক্রমণ তুলতে পারেনি। ইউক্রেনের প্রতিটি আক্রমণই ইংরেজ মাঝমাঠ ও রক্ষণভাগে পৌঁছে আটকে গিয়েছে। অন্যদিকে, ইউরো কাপের একমাত্র অপ্রতিরোধ্য গোলরক্ষক হয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের জর্ডন পিকফোর্ড। ইউরো ২০২০-এ তিনিই একমাত্র গোলরক্ষক যে এখনও পর্যন্ত একটিও গোল হজম করেননি। তবে ইউক্রেনের ম্যাচে তাকে খুব একটা ব্যস্ত থাকতেও হয়নি। সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে খেলবে ইংল্যান্ড।