ড্যানিশদের হারিয়ে প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে পা রাখল ইংরেজরা

ড্যানিশদের হারিয়ে প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে পা রাখল ইংরেজরা

লন্ডন: হ্যারি কেন পারলেন, গ্যারেথ সাউথগেট পারলেন। ইউরোর ইতিহাসে এই প্রথম ফাইনালে পৌঁছল ইংরেজরা। নিজের দেশে নিজেদের মাঠে ৫২ হাজার ইংরেজ দর্শকদের সামনে ডেনমার্ককে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে উঠে গেল থ্রি লায়ন্সরা। ওয়েম্বলিতেই এবার আজুরিদের সঙ্গে নিজেদের প্রথম ইউরো জয়ের লড়াইতে নামবে তারা। জিততে পারলেই লেখা হবে নতুন ইতিহাস।

বুধবার রাতে হাজার হাজার ব্রিটিশ সমর্থকরা ওয়েম্বলিতে ভিড় করেছিল শুধুমাত্র ইংল্যান্ডকে প্রথমবার ইউরো কাপের ফাইনালের মঞ্চে দেখবে বলে। হলও তাই। কিন্তু ডেনমার্কও সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। গোটা ইউরোয় এই প্রথম প্রতিপক্ষকে হারাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হল হ্যারি কেনদের। ইউরো কাপে পাঁচ ম্যাচ পর এই প্রথম পরাস্ত হলেন ইংরেজ গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড। ম্যাচের ৩০ মিনিটে ইংল্যান্ডের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করেন লুক শ। তার ফলে ফ্রি-কিক পায় ডেনমার্ক। সেই ফ্রি-কিক থেকে জোরালো শটে তিনকাঠিতে নিখুঁত জায়গায় বল রাখেন ২১ বছরের ড্যানিশ তারকা মাইকেল ড্যামসগার্ড। পিকফোর্ডকে পরাস্ত সেই বল জাল কাঁপিয়ে দেয়। ইতিহাস গড়েন ড্যামসগার্ড। ইউরো কাপে এখনও পর্যন্ত একমাত্র ফ্রি-কিক গোল করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন তিনি।

ইংল্যান্ড অবশ্য ড্যানিশদের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ৩৯ মিনিটে সেই চাপ বজায় রেখেই সমতায় ফেরে তারা। অধিনায়ক হ্যারি কেনের বাড়ানো বল নিয়ে ডানদিক দিয়ে উঠে একদম পেনাল্টি বক্সের মাঝখানে রহিম স্টার্লিংকে উদ্দেশ্য করে ক্রশ করেন বুকায়ো সাকা। কিন্তু স্টার্লিং সেই বল ছোঁয়ার আগেই তা ডেনমার্কের অধিনায়ক সাইমন কায়েরের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। এরপর বাকি ম্যাচ দুই দলই বিপক্ষের গোলে আক্রমণের ঝড় তোলে। কিন্তু গোলের মুখ খোলেনি। হ্যারি কেনদের মুহুর্মুহু আক্রমণ বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্কিমিচেল।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফলাফল না হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ায়। এই অতিরিক্ত সময়েই কিস্তিমাত করেন ইংরেজ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ১০৪ মিনিটে ড্যানিশ ডি-বক্সে রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করেন ড্যানিয়েল ওয়াস। হ্যারি কেনের নেওয়া পেনাল্টি প্রথমবারে রুখে দেন ড্যানিশ গোলরক্ষক স্কিমিচেল। কিন্তু ফিরতি বলটা পায়ে পেয়ে তা গোলে ঢুকিয়ে দেন কেন। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সাউথগেটের ছেলেরা। এরপর ডেনমার্কের যোদ্ধারা আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়নি। খেলার গতিকে কমিয়ে এনে ড্যানিশদের খেলার ছন্দটাই ভেঙে দেয় ইংরেজরা। কোনোরকমে হলেও প্রথমবার ইউরোর ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়ল গ্যারেথ সাউথগেটের দল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 15 =