ম্যানচেস্টার: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে বিছানায় গেছিলেন। কিন্তু সব স্বপ্ন তো সত্যি হয় না। সকালে উঠে তা কঠোর বাস্তবে পরিণত হয়। তেমনটাই হল পোপের। না, ইনি ভ্যাটিক্যান সিটির সর্বশক্তিমান পোপ নন, ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার টেস্ট ব্যাটসম্যান অলি পোপ। প্রথম দিনের শেষে ৯১ রানে অপরাজিত থেকে সাজঘরে ফেরেন তিনি। যে অনায়াস ভঙ্গিতে খেলছিলেন তাতে তাঁর সেঞ্চুরি পাওয়া নিয়ে সন্দেহ ছিল না।
কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বিধ্বংসী বোলিং করা শুরু করেন ক্যারিবিয়ান পেসার শ্যানন গেব্রিয়েল। তাঁর প্রথম ওভারেই একবার এলবিডব্লু আউট হতে পারতেন অলি পোপ। কিন্তু নো বল করে বসেন গেব্রিয়েল। সেই ওভারের শেষ বলেই স্লিপে খোঁচা দেন পোপ। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফস্কান বিশালবপু কর্নওয়াল। পোপ নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন ফাঁড়া কাটল, সেঞ্চুরি হবেই। কিন্তু বিধি বাম, পরের ওভারের প্রথম বলে নিখুঁত ইনসুইং ডেলিভারিতে পোপের মিড্ল স্টাম্প ছিটকে দেন গেব্রিয়েল।
কিন্তু এত করেও হারের ভ্রুকুটির মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩০০ রান পেরনোর আগেই যখন ইংল্যান্ড ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়, তখন মাত্র ৪২ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিলেন বোলার হিসেবে পরিচিত স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংলিশ টেলএন্ডারদের প্রতিরোধে মোট রান হল ৩৬৯। ক্যারিবিয়ান ইনিংসে প্রথম আঘাতটাও সেই ব্রডই হানেন। এরপর নিয়মিত ভাবে উইকেট পড়তে থাকে তাদের। দিনের শেষ ১৩৭ রান করেছে জেসন হোল্ডারের দল। কিন্তু হারিয়েছে ছ’টি উইকেট। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক হোল্ডার এবং উইকেটকিপার শেন ডাউরিচ। হার বাঁচাতে হলে এই দু’জনকে অতিমানবিক ইনিংস খেলতে হবে তা বলাই বাহুল্য।
খারাপ পারফর্ম্যান্সের দিনেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রেকর্ড করলেন কেমার রোচ। কিংবদন্তি পেসারদের দেশে উইকেট সংখ্যায় প্রথম দশে চলে এলেন তিনি। সেই তালিকার নামগুলো পড়লেই অনেক ব্যাটসম্যানের হৃৎকম্প হতে পারে। কোর্টনি ওয়ালশ, কার্টলি অ্যামব্রোজ, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার, অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং, ওয়েস হল— একসময়ের বিশ্বত্রাস পেস বোলারদের সঙ্গে একাসনে বসলেন কেমার রোচ। টেস্টে ২০০ উইকেট পূর্ণ হল তাঁর।