কলকাতা: ডার্বি নিয়ে উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই শিবিরই নিজেদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারতে তৈরি। বাগানের অনুশীলনে কোনও রকম সমস্যা না হলেও বড় ম্যাচের আগে লাল-হলুদ প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে নড়বড় অবস্থায়। কারণ ডুরান্ড কমিটির চূড়ান্ত অব্যবস্থা। কারণ ডুরান্ড কমিটির পাঠানো বাস টিম হোটেলে দেরিতে পৌঁছনোয় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের শেষ দিনের অনুশীলনে আসতে হল টোটো করে! কেউ অবশ্য এলেন নিজের বা ভাড়া গাড়িতে।
রাজারহাটের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত সঠিক সময়েই পৌঁছে যান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টিম বাস না আসায় তাঁর অস্বস্তি বাড়ে এবং তিনি বিরক্তও হন। কিছু পরেই দেখা যায়, ফুটবলারদের কেউ এলেন নিজের গাড়িতে। কেউ ক্যাব ভাড়া করে। আর দলের চার ভরসাযোগ্য বিদেশি ফুটবলার সিভেরিয়ো, সউল ক্রেসপো, বোরখা এরেরা ও জর্ডান এলসে এলেন টোটো চড়ে। স্বাভাবিকভাবেই ডুরান্ত কমিটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা আর এ বিষয়ে মন দিতে চাননি। মনোযোগ সহকারেই অনুশীলন শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, শনিবারের ডার্বিতে ধারে ভারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট সত্যিই ‘জায়েন্ট’। গতবারের থেকেও শক্তিশালী এবারের দল। উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি সেই আগের তিন বছরের মতোই। নতুন দল, কোচ, অল্প দিনের প্র্যাকটিস। তবে এবারের দল তুলনামূলক ভালো। তাই তারা কতটা ‘ফাইট’ দিতে পারে এটাই দেখার। এই ম্যাচ জেতা বা ড্র করাও সহজ নয়, সেটা তারাও ভালো জানে।