১০ গোল দেওয়ার নজির ইস্টবেঙ্গলের আগেও আছে! কোন ম্যাচগুলিতে, জানুন

১০ গোল দেওয়ার নজির ইস্টবেঙ্গলের আগেও আছে! কোন ম্যাচগুলিতে, জানুন

041f41a51799765e55aa0cf7a2e69418

কলকাতা: ঘরের মাঠে কলকাতা লীগের ‘সুপার সিক্স’ পর্বে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইস্টবেঙ্গল। আজ তারা এই ম্যাচে ১০ গোল দিয়েছে। ফাইনাল স্কোরলাইন ১০-১, যা এবারের কলকাতা লীগের সবথেকে বড় জয়। ম্যাচে দুটি হ্যাটট্রিক হয়েছে। একটি করেছে পিভি বিষ্ণু এবং অপরটি মহীতোষ। কিন্তু ১০ গোল দেওয়ার নজির ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে এই প্রথম নয়। এর আগে একাধিকবার এত বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে মশাল বাহিনী। কোন ম্যাচে, জেনে নিন।

১৯৪৩ সালে কলকাতা ফুটবল লীগেই ইস্টবেঙ্গল ১০-০ গোলে ডালহৌসিকে হারিয়ে ছিল। এরপর ১৯৪৯ সালে ইস্টবেঙ্গল ১০-০ গোলে হারিয়েছিল ক্যালকাটা গ্যারিসনকে। এতো গেল কলকাতা লীগের কথা। ডুরান্ড-রোভার্সের মতো টুনামেন্টেও ইস্টবেঙ্গলের ১০ গোল দেওয়ার নজির আছে। ১৯৪৫ সালে রোভার্স কাপে ইস্টবেঙ্গল ১১-০ গোলে হারিয়েছিল বিবি অ্যান্ড সিআই রেলকে। আবার ১৯৭২ সালে ডুরান্ড কাপে বিবি স্টারের বিরুদ্ধে তারা জিতেছিল ১০-০ গোলে। শুধু ১০ গোল নয়, জোড়া হ্যাটট্রিকের নজিরও আজ আবার একবার করে ফেলেছে লাল-হলুদ। অতীতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এক ম্যাচে জোড়া হ্যাটট্রিক করেছিলেন চিমা ও কুলজিৎ। আজ করেন বিষ্ণু এবং মহীতোষ। 

আজ ম্যাচের ৬ মিনিটে প্রথম গোল করেন পিভি বিষ্ণু। তারপর ১০ মিনিট এবং ৩৮ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর মহীতোষ নিজের হ্যাটট্রিক করেন ৪১ মিনিট, ৪৫ মিনিট এবং ৪৫(+২) মিনিটে গোল করে। মাঝে ৪৩ মিনিটে খিদিরপুর একটি গোল শোধ করে, তবে তা যে শান্তনা পুরষ্কারের থেকেও কম সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবার কার্যত গোলের বন্যা ইস্টবেঙ্গলের। ৫১ মিনিতে বিষ্ণুর পর ৫৪ মিনিটে জেসিন টিকে, শেষে ৫৬ মিনিট এবং ৮২ মিনিটে গোল করেন ভিপি সুহের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *