কলকাতা: গ্রুপে ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, আই লীগ জয়ী পঞ্জাব এফসি। ডুরান্ত কাপ শুরু হওয়ার আগে কেউ কল্পনা করেনি যে এমন একটা গ্রুপ থেকে কোয়াটার ফাইনাল যাবে ইস্টবেঙ্গল, তাও আবার শীর্ষে থেকে। শেষ ৩ বছরের যা পারফরমেন্স তাদের তাতে খুব কম ইস্টবেঙ্গল সমর্থকই তা আশা করতে পারেন। কিন্তু সেটাই করে দেখাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ডুরান্ড গ্রুপ এ থেকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে গেল ইস্টবেঙ্গল। বহুদিন পর নিজের দলকে কোনও টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে খেলতে দেখবে সমর্থকরা।
এদিন খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গলের একটাই লক্ষ্য ছিল ৩ পয়েন্ট। ম্যাচ ড্র করলে পরের রাউন্ড যাওয়া ভীষণ চাপের হয়ে যেত। তার থেকেও বড় কথা, ডার্বি জেতার আনন্দ মাটি হতে পারত কারণ গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে চলে যেত মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। পঞ্জাবের সঙ্গে ম্যাচ শেষে লাল-হলুদের সেই লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। গ্রুপ শীর্ষে থেকেই ডুরান্ড কোয়াটার ফাইনালে নামবে কুয়াদ্রাত বাহিনী। এদিন ম্যাচের শুরুতে খুব একটা আক্রমণাত্মক লাগেনি ইস্টবেঙ্গলকে। ধীরে ধীরে অল্প পাসে তারা খেলা শুরু করেছিল। মাঝে ২-৩ বার পঞ্জাবের প্লেয়াররা আক্রমণও করে লাল-হলুদ গোল বক্সে। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রথমার্ধে ২২ মিনিটে কর্নার থেকে লাল-হলুদ দলকে এগিয়ে দেন সিভেরিও টোরো। ম্যাচের একমাত্র গোলটাই তিনি করেছেন। গোটা ম্যাচে পঞ্জাব কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি।
কোচ হয়ে আসার পর কারলেস কুয়াদ্রাতের কাছে এই টিম নিয়ে ভাল ফল করাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ গত ৩ বছরের মতো আবার ইস্টবেঙ্গল নতুন টিম, নতুন কোচিং স্টাফ। কিন্তু আপাতত সেই চ্যালেঞ্জ লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করেছেন তিনি। সাড়ে চার বছর পর ইস্টবেঙ্গলকে ডার্বি জিতিয়েছেন, তাও টুর্নামেন্ট শুরুর দ্বিতীয় ম্যাচেই। এবার গ্রুপ টপ করিয়ে ডুরান্ড কোয়াটারে খেলবে তাঁর দল। কথায় বলে, শুরু ভালো যার, সব ভালো তাঁর। এবারের ইস্টবেঙ্গল কি পুরনো সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে পারবে? দেখা যাক…