east bengal
দেবময় ঘোষ: জর্ডন এলসের বদলি কে? নিশু কুমার কোথায়? – ইস্টবেঙ্গল জনতার মনে উসখুস করতে থাকা দুই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ প্রফেসর জানিয়ে দিলেন – ইস্টবেঙ্গল জনতার দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। ইস্টবেঙ্গলের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ অভিযান শুরুর আর বিশেষ সময় বাকি নেই। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা আগে ডিফেন্সের দুই স্তম্ভ জর্ডন এলসে এবং লালচুংনুঙ্গা নেই। ডুরান্ড কাপের ফাইনালের দিনই হাঁটুতে ব্যপক চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান জর্ডন। পরে জানা যায়, এসিএল-এ চোট পেয়েছেন। তবে অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে লাল রয়েছেন এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলে। সেক্ষেত্রে আসু সমস্যাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ সাফ জানাচ্ছেন, এই সব তো ফুটবলে হয়। ফুটবলের অঙ্গ। এই সব নিয়ে আমরা ভাবিত নই। তিনি বলেন, ”ডুরান্ডে জর্ডন যা খেলেছে, আমরা সত্যই খুব খুশি। কিন্তু আগেই বলেছি, এই সব ফুটবলে হয়েই থাকে। (জর্ডনের বদলি খেলোয়াড়ের ব্যাপারে …) আমাদের একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু আপনারা এও জানেন যে কিছু বিশেষ সর্ত রয়েছে। ফ্রি ফুটবলার হতে হবে। একই সঙ্গে আমরা যেরকম খেলি সেই ফুটবল খেলতে হবে। এটা তাড়াহুড়ো করে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এটা সারা বছরের প্রশ্ন।”
কার্লেস জানান, ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট তাকে জর্ডন এলসের বিকল্প খুঁজতে সাহায্য করেছে। তবে খেলোয়ারটির পাসপোর্ট (অথবা ভিসা) সংক্রান্ত কোনও সমস্যার কথাও তিনি উল্লেখ করতে চেয়েছেন। অন্যদিকে নিশু কুমারের নাম নাম ইস্চবেঙ্গলের চূড়ান্ত খেলোয়াড়ের তালিকায় থাকবে বলে জানান ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ। আই এস এলের ওয়েবসাইটে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়ের তালিকায় নিশুর নাম নেই দেখে ইনেকেই উষ্মা প্রকাশ করেন। এবছর কেরালা ব্লাস্টার থেকে এক বছরের লোনে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন নিশু। এর আগেও ব্যাঙ্গালোর এফসিতে কার্লেসের তত্ত্বাবধানে খেলেছেন নিশু।
ডুরান্ড কাপে খেলেনি জামসেদপুর। এটি ইস্টবেঙ্গলের সুবিধা না অসুবিধা? – ইস্টবেঙ্গল হেডকোচ জানান – জামসেদপুরকে তিনি দেখেননি। ওরা এখনও কোনও অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেনি। ডুরান্ডেও ওদের একাডেমি দল ফুটবল খেলে গিয়েছে। তবে ওদের হারাতে গেলে বাল ফুটবল খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গল ওদের দেখেনি, এটা কোনও অসুবিধা হবে না।