ম্যানচেস্টার: টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা ছিল পুরো পাকিস্তানের দখলে। এমতাবস্থায় তৃতীয় দিনের খেলায় কর্তৃত্ব করতে পারলে ম্যাচ পকেটে চলে আসত তাদের। কিন্তু বোলাররা তাদের দায়িত্ব দারুণ ভাবে পালন করলেও পাক ব্যাটসম্যানরা ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিলেন। তৃতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৭ রানে আট উইকেট চলে গেছে পাকিস্তানের। লিড রয়েছে ২৪৪ রানের যেটা অন্তত ৩০০ হওয়া প্রয়োজন না হলে জয় সুনিশ্চিত বলা যাবে না। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং কঠিন হলেও হাতে প্রায় দু’ দিন সময় পাবে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ৯২ রানে ৪ উইকেট অবস্থায় ব্যাট করতে নামেন অলি পোপ এবং জস বাটলার। ১৭ বছর বয়সি পাক পেসার নাসিম শাহের একটি বল অতিরিক্ত বাউন্স খেলে বেকায়দায় পড়ে যান পোপ। গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। প্রথম এরপর থেকে শুরু হয় লেগস্পিনার ইয়াসির শাহের কামাল। জস বাটলার, ক্রিস ওকস এবং ডম বেসকে ফটাফট আউট করে দেন ইয়াসির। শেষ দুটি উইকেট নেন আর এক লেগস্পিনার শাদাব খান। মাত্র ২১৯ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ১০৭ রানের লিড হাতে নিয়ে ফের ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। মনে হচ্ছিল প্রতিপক্ষের জন্য বিশাল একটা টার্গেট খাড়া করবে তারা।
কিন্তু দ্রুত পাল্টাতে শুরু করে ম্যাচের রং। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা শান মাসুদ শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অধিনায়ক আজহার আলি বা বাবর আজম কেউই ইংলিশ পেসারদের সুইং সামলাতে পারেননি। আসাদ শফিক এবং মহম্মদ রিজওয়ান খেলাটা সবে আয়ত্তে আনছিলেন, এমন সময় রান আউট হলেন শফিক। দিনের শেষে ক্রিজে আছেন ইয়াসির শাহ এবং মহম্মদ আব্বাস। ইংল্যান্ডের কাজ হবে চতুর্থ দিন যত হলদি সম্ভব বাকি দুটো উইকেট ফেলে দেওয়া। যে ম্যাচ একটা সময়ে পাকিস্তানের হাতে ছিল সেটাই এখন যে কেউ জিততে পারে। তবে এখন অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তান, কারণ ওল্ড ট্রাফোর্ডের পিচে চতুর্থ দিন ব্যাট করা সহজ নয়। ডিউক বলের সুইংয়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ ইয়াসির শাহকে সামলানো।