ক্ষুধার্ত সিংহের মতোই ‘কামব্যাক‘! উথাপ্পা-দুবের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল কোহলির RCB

ক্ষুধার্ত সিংহের মতোই ‘কামব্যাক‘! উথাপ্পা-দুবের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল কোহলির RCB

নয়াদিল্লি: চারবারের চ্যাম্পিয়ন হয়েও চলতি মরশুমে সে ভাবে দাগ কাটতে পারছিল না তারা৷ চারটি ম্যাচে হেরে লিগ তালিকার একেবারে নীচে পৌঁছে তকমা জুটেছিল ‘লাস্ট বয়’-এর৷ সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াল চেন্নাই সুপার কিংস৷ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ঝড় তুলল তারা৷ ‘কামব্যাক’ করল ক্ষুধার্থ সিংহের মতো৷ 

আরও পড়ুন- আইসিসি’র বড় পদে বসতে পারেন সৌরভ! বিরাট জল্পনা

বলা হয়ে থাকে আইপিএল তরুণ প্রজন্মের ফরম্যাট৷ তবে চেন্নাই বিশ্বাসী অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মেলবন্ধনে৷ সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিল শিবম দুবে এবং রবিন উথাপ্পার জুটি৷ তৈরি করলেন রানের পাহাড়৷ লড়াই করেও সেখানে পৌঁছতে পারলেন না কোহলিরা৷ 

বোনের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন হর্ষল প্যাটেল৷ তার জায়গায় মাঠে নেমেছিলেন জস হ্যাজলউড৷ বল হাতে প্রথমেই  ঋতুরাজের (১৭) উইকেট তুলে নিয়ে চেন্নাই টপ অর্ডারে ধাক্কা দেন তিনি। এর পর ৩ রানে করে রান আউট হয়ে যান মঈন আলিও৷ ৭ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে চেন্নাইয়ের ঝুলিতে তখন মাত্র ৩৭ রান৷ সেই সময়ে ক্রিজে নামেন শিবম দুবে। এর পর থেকেই শুরু হয় উত্থাপ্পা-দুবে তাণ্ডব। খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন তাঁরা। ৫০ বলে ৮৮ রান করে আউট হন উথাপ্পা। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। অন্যদিকে, ৪৬ বলে ৯৫ রানে  অপরাজিত থাকেন শিবম দুবে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও পাঁচটি বাউন্ডারি৷ এদিন ধোনিও মাঠে নেমেছিলেন৷ তবে একটিও বলও খেলতে হয়নি তাঁকে। এর পর রান তাড়া করতে নেমে ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে আরসিবি৷ এই অবস্থায় আশা জাগিয়েছিলেন কার্তিক৷ ১৮ বলে তখন প্রয়োজন ৪৮ রান। এই অবস্থায় বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন কার্তিক। 

 
ম্যাচ শেষে শিবম দুবে বলেন, ‘আমরা প্রথম জয়ের জন্য লড়াই করেছিলাম। সেই ম্যাচে আমি অবদান রাখতে পেরে খুবই খুশি।  বেসিকের উপর ফোকাস করে খেলেছি। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং মাহি ভাইও আমাকে সাহায্য করেছেন।’’ শিবম জানান, মাহি তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর স্কিলের উপর আরও যত্ন নিতে হবে৷ মাজাঘষা করতে হবে। তবে শিবমের রোল মডেল যুবরাজ সিং৷