কলকাতা: এবারেও কলকাতা নাইট রাইডার্সে ব্রাত্য রাজ্যের প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটাররা। চলতি বছরের গোটা আইপিএলে বাংলার প্রতিনিধি বলতে মাত্র চারজন। ঋদ্ধিমান সাহা, ঈশান পোড়েল, শাহবাজ আহমেদ, শ্রীবৎস গোস্বামী। অন্য সব দল তাদের রাজ্যের ঘরোয়া প্রতিভাদের দলে সুযোগ দিলেও কেকেআর বাংলার ক্রিকেটারদের দিকে ঘুরেও তাকায়নি। আইপিএলের নিলামে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের উপেক্ষা করে বিদেশি ও ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার বিকিকিনির দিকে ঝুঁকল কলকাতা।
মুম্বই, পাঞ্জাব, হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর-সহ দেশের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই প্রতিবছর স্থানীয় ক্রিকেটারদের টাকা দিয়ে কেনে এবং পর্যাপ্ত সুযোগও দেয়। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। নতুন নতুন তরুণ প্রতিভাদের দলে ঠাঁই দিয়েছে পাঞ্জাব-মুম্বইয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। কিন্তু কেকেআর পয়সা খরচ করে ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শেলডন জ্যাকসন, বৈভব আরোরাদের দলে নিয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্ম করা অনুষ্টুপ মজুমদারদের কেনায় কোন উৎসাহ দেখায়নি। বাংলার সাতজন তরুণ ক্রিকেটার তথা অভিমুন্য ঈশ্বরণ, অনুষ্টুপ মজুমদার, সায়ন ঘোষ, আকাশদীপ, আমির গনি, প্রয়াস রায় বর্মণ ও বিবেক সিং এবারের আইপিএলের নিলামে ছিল। তার মধ্যে শুধুমাত্র বিবেকের নাম নিলামে উঠলেও কোন দল তার উপর বাজি লাগাতে চাইনি। মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সও।
একসময় কলকাতা দলে লক্ষ্মীরতন শুক্লা, মনোজ তিওয়ারি, মোহাম্মদ সামি ও দেবব্রত দাস একসঙ্গে খেলতেন। তারা দলে থাকাকালীন দু’বার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে কেকেআর। কিন্তু বাংলার ক্রিকেটের ছেড়ে বিদেশি ও ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারদের দিয়ে দল সাজানো শুরু করলে কলকাতার কাপ ভাগ্যও জলে যায়। শেলডন জ্যাকসন, ভেঙ্কটেশ আইয়াররা খুব একটা ভালো পারফর্মেন্স না করলেও তাদের বছরের পর বছর ধরে দলে নিতে পিছপা হচ্ছে না নাইট রাইডার্স। এদিকে তাদের থেকেও ভালো তরুণ ঘরোয়া প্রতিভাকে প্রতিবছর উপেক্ষা করে চলেছে কলকাতা। সমর্থকদের মতে, কাপ ভাগ্য ফেরাতে চাইলে দলে নতুন খেলোয়াড় নেওয়া নিয়ে নিজেদের নীতিতে বড় রকমফের আনতে হবে নাইট রাইডার্সকে।