নয়াদিল্লি: আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-এর টাইটেল স্পনসর ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল বিসিসিআই৷ অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২০ এর টাইটেল স্পনসর ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল নকরল বিসিসিআই। এই সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে বিসিসিআই।
যদিও ইতিমধ্যেই ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দিন দুয়েক আগেই। গত রবিবার আইপিএল-এর গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পর চীনা মোবাইল সংস্থা ভিভোকে টাইটেল স্পনসর হিসেবে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলো বোর্ড। তবে এর পরেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয় নেটিজেনরা। এমনকি এর জন্য আইপিএল বয়কট করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপর কিছুটা চাপে পড়েই ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই।
লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দু'দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর থেকেই দু'দেশের সম্পর্কে চিঁড় ধরেছ। ইতিমধ্যেই ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে ১০০টির ও বেশি চীনা অ্যাপ। চীনা পণ্য বিরোধিতায় সরব ভারতের আমজনতা। সরকারের পক্ষ থেকেও দেশে চীনা পণ্য আমদানি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাশ টানার চেষ্টা চলছে।তবে সমস্যা হল আইপিএল-এর মত লাভজনক টুর্নামেন্টের খরচও কম নয়। সেখানে ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে ভিভোর সঙ্গে মোট ২১৯০ কোটি টাকার চুক্তি ছিল বিসিসিআই-এর। অর্থাৎ প্রতি মরশুমে প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা। এবার চুক্তি বাতিলের পর আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা আইপিএল টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসরের জন্য এত বড়সড় অঙ্কের বিকল্প স্পনসর পাওয়াটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
যদিও আইএএনএস এর বোর্ড সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই টাইটেল স্পন্সর এর জন্য টেন্ডার ডাকবে বিসিসিআই, বলে জানা গেছে।অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের জন্য আরও এক পরীক্ষা অপেক্ষা করে রয়েছে। কারণ এর আগে ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বজায় রাখার সিদ্ধান্তে এমনিতেই কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর চক্ষুশূল হয়েছিল বিসিসিআই। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল-এর আয়োজনকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না তারা।এমনকি এই পুরো বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে লেখা একটি চিঠিতে আরব আমিরশাহিতে আইপিএল আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।