নয়াদিল্লি: ফর্ম নিয়ে দীর্ঘ ডামাডোলের পর ফের গর্জে উঠেছে বিরাট কোহলির ব্যাট৷ কিন্তু এরই মধ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে আরও এক জল্পনা৷ প্রশ্ন উঠেছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই কি এই ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন বিরাট? এই জল্পনার নেপথ্যে রয়েছে এক বোর্ডকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে৷ ওই বোর্ড কর্তা জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই দল একটা পরিবর্তন আসবে৷ কিছু নতুন ক্রিকেটার জায়গা পাবে৷ তেমনই আবার কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে টি-টোয়েন্টি থেকে হয়তো অবসর নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হবে৷ সেই তালিকায় কোহলির ছাড়াও রয়েছে রবীন্দ্র জাদেজার নাম। এমনিতেও চোটের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন জাদেজা৷ ভবিষ্যতে হয়তো আর এই ফরম্যাটে দেখা যাবে না তাঁকে৷
আরও পড়ুন- ডায়মন্ড লিগে চ্যাম্পিয়ন নীরজ, প্রথম ভারতীয় হিসাবে ইতিহাস গড়লেন সোনার ছেলে
জানা গিয়েছে, বোর্ড চাইছে, দলের সেরা কিছু ক্রিকেটারকে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটের জন্য সরিয়ে রাখতে। কোহলি যাতে ২০২৩-এর এক দিবসীয় বিশ্বকাপে ভালো ভাবে খেলতে পারেন, সেই চেষ্টাই করা হবে। সেই লক্ষেই টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার কথা বলা হতে পারে। এমনকী টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার কথাও বলা হতে পারে৷ উল্লেখ্য, অদূর ভবিষ্যতে বড় মাপের কোনও টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাও অবশ্য নেই।
এক ওয়েবসাইটে ওই বোর্ডকর্তা বলেন, “এটা নতুন বিষয় নয়। যে কোনও বড় প্রতিযোগিতার পরেই বদল আনা হয়। গত বছর বিশ্বকাপের পরেই যেমন মহম্মদ শামিকে বলা হয়েছিল দু’টি ফরম্যাটের উপর নজর দিতে। তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরাটের বয়সও কমছে না। যে সংখ্যক ম্যাচ ভারতকে খেলতে হয়, তাতে ওঁর ওয়ার্কলোড নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে৷ আমরা মনে করছি একটা বদল আনা দরকার। জাদেজাকে দেখুন, বার বার চোট পাচ্ছেন। বিশ্বকাপ হয়ে যাওয়ার পর আমরা বদল নিয়ে ভাবনাচিন্তা করব।”
যদিও কোহলি নিজে তিন ফরম্যাটেই খেলতে চান। এখনও কোনও ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দেননি প্রাক্তন অধিনায়ক৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>