মালদ্বীপ: এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চেনালেন এটিকে মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। মরশুমের প্রথম ম্যাচেই স্রেফ পরিকল্পনার উপর ভর করে রুখে দিলেন সুনীল ছেত্রী-গুরপ্রীত সিং সান্ধুদের অপ্রতিরোধ্য বেঙ্গালুরু এফসি-কে। শুধু তাই নয়, বেঙ্গালুরুকে ২-০ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচেই ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করল এটিকে মোহনবাগান। সফল জয় দিয়েই শুরু হল এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপ যাত্রা।
বুধবার বিকেলে মালদ্বীপের ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথম থেকেই এদিন গোলের সন্ধানে ছিলেন এটিকে কোচ আন্তোনিও হাবাস। দলে হুগো বউমৌস, দীপক টাংরি, লেনি রড্রিগুয়েজের মতো নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে মাত্র কিছুদিনের অনুশীলনে যোগসূত্র তৈরি করতে হয়েছে হাবাসকে। এদিন তিনজনকেই প্রথম ১১-তে রেখে দল নামিয়েছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই গোলের সুযোগ তৈরি হলেও প্রথম গোলটা আসে প্রথমার্ধ শেষের কয়েক মিনিট আগে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডানদিকের কর্নার থেকে ভেসে আসা বল কার্ল ম্যাকহিউয়ের মাথার লেগে গোলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রয় কৃষ্ণকে খুঁজে নেয়। এই সুযোগ হাতছাড়া করেননি রয় কৃষ্ণ। ব্যাক হেডে গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের দুই নম্বর গোলটা পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ৪৬ মিনিটে বাঁদিক থেকে ডেভিড উইলিয়ামসের বাড়ানো ক্রস একেবারে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে পান শুভাশীষ বসু। বলটা বাঁ পায়ে ট্র্যাপ করে ঘুরে গিয়ে বাঁ পায়েরই জোরালো শটে গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে পরাস্ত করে জালে বল জড়িয়ে দেন শুভাশীষ। জন্মদিনে গোল পেয়ে যথেষ্ট খুশি এই বাঙালি ফুটবলার। এরপর বেঙ্গালুরু অনেক চেষ্টা করেও গুরুতর আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি। বেঙ্গালুরুর যাবতীয় আক্রমণ তৈরি হওয়ার আগে মাঝমাঠেই তা পরিকল্পনা করে রুখে দেয় এটিকে মোহনবাগান। এদিন সেভাবে জ্বলে ওঠার সুযোগ পাননি সুনীল ছেত্রী। উদান্তা সিংরাও এদিন সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। কিন্তু খাতায়-কলমে পরিসংখ্যান দেখলে এদিন সবদিক দিয়েই এগিয়ে ছিল বেঙ্গালুরু। বল পজিশন, পাসের সংখ্যা, গোলে শট; সব দিকেই এগিয়ে ছিলেন সুনীলরা। কিন্তু সময় বুঝে বাজিমাত করে দিলেন রয় কৃষ্ণ ও শুভাশীষ বসু।