টোকিও: করোনার আগুনের আঁচ লাগতে পারে অলিম্পিকেও। আর তাতে বাতিল হতে পারে এবারের টোকিও অলিম্পিক। জাপানের শাসক গোষ্ঠীর সিনিয়র নেতা একথা বলার পরই বৃহস্পতিবার জাপানিজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরটি ভাইরাল হয়। আর এরপরই তা নিয়ে সরাসরি না হলেও মুখ খোলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহাইড সুগা৷
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, সুগা বলেন, ‘সরকারের পদক্ষেপ বদলাবে না, করোনার সংক্রমণ রোধ করতে সবরকম সাবধানতা আমরা অবলম্বন করব অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগে৷’ এর আগে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাধারণ সচিব তোষিহিরো নিকাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘যদি দেখি এটা করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে, তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এটা বন্ধ করার৷’ যদিও অলিম্পিক বাতিল করে দেওয়া নিশ্চিতভাবে একটা বিকল্প বলে জানিয়েছেন নিকাই৷
তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি অলিম্পিক থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে কিসের জন্য অলিম্পিক আয়োজন করব৷’ শাসকগোষ্ঠীর অনেক নেতা যখন বিতর্ক এড়াতে এই উতপ্ত বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না, তখন নিকাই ইঙ্গিত দিয়েছেন পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়াটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হতে পারে৷ যদিও জাপানে অলিম্পিকের এখনও ঠিক ১০০ দিন বাকি আছে৷ ২৩ জুলাই থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত অলিম্পিক আয়োজন করার নির্ধারিত সময় ঠিক হয়ে রয়েছে৷ কিন্তু তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণ ফের একবার প্রবল ভাবে থাবা বসিয়েছে জাপানে৷ যদিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটি তাদের কথামতো নির্ধারিত সময়েই খেলার আয়োজন করতে চায়৷
গত বছরও নির্ধারিত সময় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য টোকিও অলিম্পিক আয়োজন করা যায়নি৷ এবছর ফের চিন্তা বাড়িয়েছে জাপানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ৷ পৃথিবীর বৃহত্তম স্পোর্টিং ইভেন্ট একবছরের জন্য ইতিমধ্যেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তার সঙ্গে বিশ্বজুড়ে খেলাপ্রেমী দর্শক অলিম্পিক দেখতে পাবেন না বলে জাপান প্রশাসনের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে৷ টোকিওতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি৷ সরকার এমার্জেন্সি এই মুহূর্তে শেষ করেছে৷ এদিকে ওসাকাতেও প্রবল বেগেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ৷ জাপান করোনা ভাইরাস অতিমারির চতুর্থ ঢেউয়ের সঙ্গে প্রবলভাবে লড়াই করছে৷