সিডনি: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অধিকাংশ মানুষ স্তম্ভিত হয়েছিলেন। আচমকা এইভাবে মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেন চলে যাবেন চিরতরে তা ভাবতে পারেনি কেউ। কিন্তু এমন তথ্য উঠে আসছে যাতে বোঝা যাচ্ছে যে ওয়ার্নের মৃত্যু কখনই আকস্মিক ছিল না। অন্তত এমনটা মনে করছেন না দীর্ঘ দিন অস্ট্রেলীয় জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা চিকিৎসক পিটার ব্রাকনার। ঠিক কী বলছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ডাক্তারদের নির্বাচনেও ছাপ্পা, মারপিট, গালাগালি! অবাক শহরবাসী
ব্রাকনার জানাচ্ছেন, গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে ওয়ার্ন নিয়মিত ধূমপান করেছেন। খাদ্যাভাসেও সমস্যা ছিল তাঁর। পাশাপাশি মৃত্যুর আগে টানা ১৪ দিন শুধু তরল খাদ্য গ্রহণ করেছিলেন ওজন কমাতে। তার ওপর আবার মৃত্যুর আগের সাত দিন তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও হাঁপানির কষ্ট ছিল। সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে তাঁর মৃত্যু খুব একটা আকস্মিক নয়, অত্যন্ত প্রত্যাশিত। হৃদরোগের যথেষ্ট কারণ ছিল তাঁর। অন্যদিকে, ওয়ার্নের এক সময়ের সতীর্থ ইয়ান হিলি জানান, বেপরোয়াভাবে জীবনযাপন করতেন শেন। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান তো ছিলই, ত্বকের যত্নও তিনি নিতেন না। তাই তাঁর মৃত্যুর খবর তাঁকে দুঃখ দিয়েছিল কিন্তু বিস্মিত করেনি বলেই জানান হিলি।
আগেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল যে, শেনের সর্দি-কাশি ছিল বেশ কয়েক দিন ধরে। এর ওপর আবার তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন ওয়ার্ন। সঙ্গে অ্যাস্থমার সমস্যাও ছিল। তাই কাশি থেকেই সেই রক্ত বেরিয়েছে। আবার মৃত্যুর আগে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। সব মিলিয়ে স্পষ্ট করা হয় যে, হার্ট অ্যাটাকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে নেটিজেনদের একাংশ দাবি করছিল যে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই ওয়ার্নের মৃত্যু হয়েছে। এই দাবিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সব জায়গায়। তবে ভ্যাকসিনের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের কোনও সম্পর্ক নেই। যারা এই দাবি করছেন তারা ভুল এবং না জেনে দাবি করছেন। এমনটাই বক্তব্য চিকিৎসক মহলের।