দোহা: প্রথম ম্যাচ জেতার পরেও যেন চরম ‘শাস্তি’ পেল ব্রাজিল সমর্থকরা। কারণ দলের তারকা নেইমার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেলেন চোটের জন্য। সার্বিয়া ম্যাচে তাঁর চোট পাওয়া একটা আশঙ্কা তৈরি করেছিল বটে। সাম্বা প্রেমীরা আতঙ্কিত ছিলেন এই ভেবে যে বিশ্বকাপ থেকেই না ছিটকে যান নেইমার। তবে জানা গেল, সেটা না হলেও গ্রুপ পর্বের আর কোনও ম্যাচ খেলতে নামতে পারবেন না তিনি।
আরও পড়ুন- নেইমারের মঞ্চে নায়ক রিচার্লিসন, বাইসাইকেল কিকে গোল, জিতল ব্রাজিল
প্রথম ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় পায়ে গুরুতর চোট পান নেইমার এবং মাঠ ছাড়েন। দেখা যায়, তাঁর ডান পায়ের গোড়ালি ফুলে গিয়েছে। বেঞ্চে বসে পায়ে বরফ ঘষতেও দেখা যায় তাঁকে, আবার তাঁর কান্নাও চোখে পড়ে। সেই দৃশ্য দেখেই চিন্তিত হয়েছিল ব্রাজিল ফ্যানরা। ব্রাজিল ফুটবল দলের চিকিৎসক নেইমারের চোট নিয়ে বলেছিলেন, এই চোট তাঁর ওপর ‘ডিরেক্ট ট্রমা’ বা সরাসরি আঘাত। অর্থাৎ এক কথায় এটা বোঝা গিয়েছিল যে, নেইমারের পায়ের চোট খুব একটা হালকা নয়। সেটা আরও স্পষ্ট হল তাঁর গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার খবর আসায়। ব্রাজিলের পরের ম্যাচ ২৮ তারিখ, সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে৷ আর তার পরের ম্যাচ ৩ ডিসেম্বর, ক্যামরুনের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচগুলিতে নেইমারকে মাঠে নামতে দেখা যাবে না।
ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ যারা দেখেছেন তারা জানবেন যে, খেলা শুরুর দিক থেকেই ক্রমাগত নেইমারকে নিশানা করে গিয়েছে সার্বিয়া। তিনি যখনই বল পেয়েছেন তখনই তাঁকে আটকাতে তীব্র প্রচেষ্টা করা হয়েছে। হিসেব বলছে, প্রথমার্ধেই পাঁচবার ফাউল করা হয় ব্রাজিলের তারকাকে। যতক্ষণ তিনি খেলেছেন তার মধ্যে অন্তত ১২-১৪ টি ফাউল হয়েছে নেইমারের বিরুদ্ধে। শেষে আর ম্যাচে থাকতে পারেননি তিনি।