কলকাতা: বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারের একটি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। আজ শেষ হয়ে গেল তাঁর লড়াই। দৌড় থেমে গেল উইংগারের। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
আরও পড়ুন- পঞ্চভূতে বিলীন ‘গীতশ্রী’, গান স্যালুটে সম্পন্ন শেষকৃত্য
কিছুদিন আগেই বাংলার ফুটবল জগত হারিয়েছিল সুভাষ ভৌমিককে। তাঁর প্রয়াণের কিছু দিনের মধ্যে চলে গেলেন আরও এক তারকা। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। শ্বাসকষ্ট ছিল, সঙ্গে প্রচণ্ড কাশি। শেষের দিকে আরও জটিল হয়ে যায় তাঁর অবস্থা। কথাবার্তা অসংলগ্ন হয়ে পড়ে। অবশেষে আজ দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে প্রয়াত হন সুরজিৎ।
১৯৫১ সালের ৩০ অগস্ট সুরজিতের জন্ম। জীবনের প্রথম ক্লাব ছিল খিদিরপুর। তারপর প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭২ সাল থেকে দু’বছর মোহনবাগানে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে আসেন। টানা ছ’বছর লাল-হলুদে খেলে ১৯৮০ সালে চলে যান সাদা-কালো ব্রিগেড, মহামেডানে। এক বছর সেখানে খেলে আবার ফিরে আসেন বাগান তাঁবুতে। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলেও খেলেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার অধিনায়কও ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।