আগরতলা: দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে ত্রিপুরার বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে। এই নিয়ে এখন দেশের ক্রীড়া মহল তোলপাড়। কিন্তু ভারতের অন্যতম সেরা এই জিমন্যাস্ট এবং তাঁর কোচ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না যে, ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এই নিয়ে আপাতত বিতর্ক বহাল। জানা গিয়েছে, ডোপিং বিধি না মানায় দীপার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- তেইশের মেসি বনাম তেইশের এমবাপে… ফারাক কতখানি? পরিসংখ্যান কিন্তু চমকে দেওয়ার মতই
দীপার কোচ জানিয়েছেন, ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা তাঁদের এই ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি। কিছু জানতে পারলে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা হবে। তবে এই সিদ্ধান্তে তাঁরা যে অবাক হয়েছেন তা স্পষ্ট করা হয়েছে। যদিও শোনা গিয়েছে, ডোপিং সংক্রান্ত ‘হোয়ারঅ্যাবাউটস’ তথ্য না জানানোয় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাও আক্ষরিক কারণ এখনও স্পষ্ট হচ্ছে না। সূত্রের খবর, ডোপ বিরোধী সংস্থার এ হেন বিচারের বিরুদ্ধে ক্যাস-এ যেতে পারে জাতীয় জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা। এমনিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা এখনও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এদিকে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা সাই কিন্তু গোটা বিষয় নিয়ে দীপার কোচ ও ত্রিপুরা সরকারের ক্রীড়া দফতরকে দায়ী করেছে। তাঁদের বক্তব্য, একমাত্র গাফিলতির কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ২০১৯ সালে বিশ্ব জিমন্যাস্টিক্স শেষ হওয়ার পরে বারবার চোট পাওয়ায় দীপা নিয়মিত নানা ওষুধ খেতেন। সেই কারণেই হয়তো ‘ওয়াডা’র চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি।