দোহা: কাতার বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনাল। আলাদা আলাদা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সকলেরই একটা আশা ছিল যে সেমিফাইনালে নেইমার-মেসি ফুটবল যুদ্ধ দেখা যাবে। এই ম্যাচটা হয়তো এইবারের বিশ্বকাপের সবথেকে চর্চিত ম্যাচ হতে পারত। কিন্তু তা হল না। দিনের শেষের একজনের চোখে কান্না, অন্যজনের চোখে উজ্জ্বল জ্যোতি। দুই ম্যাচের শেষের দুই ধরনের চিত্র।
আরও পড়ুন- ক্রিস গেইলের সঙ্গে স্বামীজির যোগ কী ভাবে? কুর্নিশ জানাচ্ছে বিশ্ব
ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া এবং নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা, দুই ম্যাচই চলে গিয়েছিল টাইব্রেকারে। প্রথম খেলায় নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকলেও এক্সট্রা টাইমে ১-১ হয়। নেইমার গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেও সেই স্কোর ধরে রাখতে পারেনি ব্রাজিল। পরবর্তী সময়ে টাইব্রেকারে ক্রোটরা তাঁদের হারিয়ে চলে গিয়েছে সেমিফাইনালে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই ব্রাজিলকে ফেভারিট ধরা হচ্ছিল। তারকা খচিত এই দলকে বলা হচ্ছিল বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া সকলের ভুল শুধরে দিয়েছে। চোখের জলেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন পেলের রেকর্ড ছোঁয়া ছেলেটাকে।
একই রকম ভাবে নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা ম্যাচটাও ড্র হয়ে শেষ হয়েছিল। খেলা শেষ হওয়ার প্রায় ১০ মিনিট আগে পর্যন্তও ২-০ গোলে জিতছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ডাচরা লড়াই থামায়নি কোনও সময়ের জন্য। অল্প সময়ের মধ্যেই অনবদ্য দুই গোল করে দেয় তারা। এক্সট্রা টাইমেও ২-২ স্কোর বদলায়নি ফলে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। তখন নীল-সাদা সমর্থকদের মনে হয়তো ব্রাজিল ম্যাচ ঘুরছিল। যদি নেইমারদের মতো তাদের অবস্থা হয়? না। হল না। হতে দিলেন না আর্জেন্টাইন গোলকিপার। দূরত্ব দুটি সেভ ম্যাচের রঙ বদলে দিল। শেষ হাসি হাসলেন এলএম-১০।