ব্যাংকক: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের৷ তাইল্যান্ডের তাঁর নিজের ভিলায় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি৷ অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ব্যর্থ হয় চিকিৎসকদের সব চেষ্টা৷ সময় মতো চিকিৎসক ডেকেও কোনও লাভ হয়নি। তবে আচমকা এই রকম হার্ট অ্যাটাকে কি কোনও রহস্য আছে? কী বলছে তাইল্যান্ড পুলিশ?
আরও পড়ুন- জ্বলছে ইউক্রেন, অবিরাম সাইরেনের শব্দ, চার শহরের দখল নিল রাশিয়া
ভিলায় যখন ওয়ার্নের দেহ পাওয়া যায় তখন তিনি অচৈতন্য ছিলেন। তাইল্যান্ড পুলিশ জানাচ্ছে, আপাতত যা মনে হচ্ছে তাতে এই মৃত্যুতে কোনও রহস্য নেই। তবু প্রথা মতো ওয়ার্নের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের দেহ হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু কারোর অনুপস্থিতিতেই এই হৃদরোগ হয়েছে তাঁর তাই ভিলার কয়েক জন এবং আশেপাশের কয়েক জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে। শেনের শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল শেষ কয়েক ঘণ্টা বা কোনও রকম অন্য সমস্যা হয়েছিল কিনা, তা জানতে চাইবে তারা। এছাড়া আর কোনও রহস্য তারা খুঁজে পাচ্ছে না। গতকাল সকালেই অস্ট্রেলিয়ার এক কিংবদন্তি রড মার্শের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয়েছিল গোটা ক্রিকেটমহল। তা নিয়ে টুইট পর্যন্ত করেছিলেন শেন। বিকেলেই তাঁর মৃত্যুর খবর বাকরুদ্ধ করেছে সকলকে।
ক্রিকেটার হিসেবে যত পরিচিত ছিল শেনের তত বেশিই মনে হয় ছিল বিতর্কের জন্য। ডোপ টেস্ট থেকে শুরু করে যৌন কেলেঙ্কারি, সবেতেই ‘উজ্জ্বল’ ছিলেন তিনি। ২০০০ সালে বিবাহিত ব্রিটিশ নার্স ডোনা রাইটকে ফোন কলের মাধ্যমে এবং মেসেজ করে নানা ধরনের অশ্লীল কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। ২০০৩ সালে আবারও যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম আসে ওয়ার্নের। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মেলবোর্নের এক স্ট্রিপার, নাম অ্যাঞ্জেলা গালাগার। তবে সবথেকে বড় বিতর্ক হয় ২০০৬ সালে। ২৫ বছর বয়সি দুজন ব্রিটিশ মডেলের সঙ্গে তাঁর ‘সেক্স টেপ’ ফাঁস হয়েছিল।