ভিনগ্রহের অতিথি দেখা দিচ্ছে বাংলার আকাশে?

জানেন কি ইদানিং ভিনগ্রহের এক অতিথি দেখা দিচ্ছে বাংলার আকাশে? সেকেন্ডে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করছে দৈর্ঘ্যে প্রায় দেড় থেকে দু’কিলোমিটার লম্বা এই ভিনগ্রহের অতিথি। নাম ২১/বরিসভ(C/2019 Q4) । ৮ ডিসেম্বর রবিবার এই ধূমকেতু সূর্যের এতটাই কাছে চলে আসবে যে একে সাধারণ টেলিস্কোপের সাহায্যে বা খালি চোখেও দেখা যেতে পারে। মেদিনীপুরের সীতাপুরে গত সাত

05be2e68128953fabf65cf486ff6bd79

ভিনগ্রহের অতিথি দেখা দিচ্ছে বাংলার আকাশে?

জানেন কি ইদানিং ভিনগ্রহের এক অতিথি দেখা দিচ্ছে বাংলার আকাশে? সেকেন্ডে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করছে দৈর্ঘ্যে প্রায় দেড় থেকে দু’কিলোমিটার লম্বা এই ভিনগ্রহের অতিথি।

নাম ২১/বরিসভ(C/2019 Q4) । ৮ ডিসেম্বর রবিবার এই ধূমকেতু সূর্যের এতটাই কাছে চলে আসবে যে একে সাধারণ টেলিস্কোপের সাহায্যে বা খালি চোখেও দেখা যেতে পারে। মেদিনীপুরের সীতাপুরে গত সাত দিন ধরে ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে টেলিস্কোপের (লেন্সের ব্যাস ২৪ ইঞ্চি) সাহায্যে দেখা যাচ্ছে বরিসভ-কে কলকাতা থেকেও টেলিস্কোপের সাহায্যে একে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স (আইসিএসপি)’-এর অধিকর্তা জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী।

আদতে বরফের টুকরো, এই অতিথি আসলে একটি ধূমকেতু। এবছর আগস্ট মাসে প্রথমবার আমাদের সৌরমন্ডলে এর খোঁজ পান ক্রিমিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেনাডি বরিসভ। তখন আমাদের ‘লাল গ্রহ’ অর্থাৎ মঙ্গলের কক্ষপথ থেকে সে ছিল বেশ কিছুটা দূরে। এরপর সেপ্টেম্বর এর ৯-১০ তারিখ রাতে জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপ-এর মাধ্যমে বরফের টুকরোটির একটি লেজ ধরা পড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চোখে। আর তখনই বোঝা যায় এটি একটি ধূমকেতু। এ

এখন সূর্যের কাছাকাছি থাকলেও ডিসেম্বরের শেষের দিকেই এটি পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেই সময় পৃথিবী থেকে ধূমকেতুটির দূরত্ব হবে ৩০০ মিলিয়ন কিলোমিটার(১৯০ মিলিয়ন মাইল) সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের দ্বিগুণ। তবে এতে পৃথিবীবাসীর ভয়ের কোন কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন মহাকাশবিদেরা। কারণ ধূমকেতুটি মঙ্গলের কক্ষপথে ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো যখন থেকে এই ধূমকেতুটির হদিস মিলেছে মহাকাশে তখন থেকেই শুধু মহাকাশ বিজ্ঞানী নয় সাধারণ মানুষের মধ্যেও একে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। মহাজাগতিক বিষয়গুলির মধ্যে একে ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

তবে মজার বিষয় হলো ভিনদেশী মহাজাগতিক বস্তুরা 26 বছর আগে তার আভাস দিয়েছিলেন দুই বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এদের মধ্যে একজন হলেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অশোক সেন। অন্য জন মেদিনীপুরের নারায়ণ চন্দ্র রানা(অধুনাপ্রয়াত)। ইনি ছিলেন পুণের ‘ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আয়ুকা)’-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক।

১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’-এ তাঁদের সেই গবেষণাপত্রে এবিষয়টি প্রথমবার প্রকাশিত হয়েছিল। ‘অন দ্য মিসিং ইন্টারস্টেলার কমেট্‌স’ শীর্ষক আলোচনায়। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রথমবার এইরকম ভিনগ্রহী ধুমকেতু আগমন ঘটেছিল সৌরমন্ডলে নাম ছিল ‘ওউমুয়ামুয়া’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *