এ যে অবিকল মানুষ! চোখ মেরে, মুচকি হেসে যন্ত্রমানবীর প্রশ্ন, ‘আমি বাস্তব হলে কেমন হয়?’

এ যে অবিকল মানুষ! চোখ মেরে, মুচকি হেসে যন্ত্রমানবীর প্রশ্ন, ‘আমি বাস্তব হলে কেমন হয়?’

নিউ ইয়র্ক:  এ যে যন্ত্র মানবী! হুবহু মানুষের মতো৷ যে শুধু চলাফেরাই করতে পারে না৷ পারে কাঁধ ঝাঁকাতে, হাসতে, এমনকি চোখ মারতেও! না, এটা কোনও লেখকের হাতে রচিত সায়েন্স ফিকশনের কল্পকাহিনী নয়৷ চরম বাস্তব৷ কথা হচ্ছে দুবাইয়ের মিউজিয়াম অফ দ্য ফিউচারের নয়া সদস্য অ্যান্ড্রয়েড রোবট আমেকার৷ যার অঙ্গভঙ্গী কোনও নারীর চেয়ে কম নয়৷ সেই সঙ্গে তার প্রশ্ন, ‘‘কেমন হয় যদি আমি হই বাস্তব?’’

আরও পড়ুন- হাসছে সূর্য, ওই হাসিতেই লুকিয়ে বিপদ, ছবি ধরা পড়ল নাসা-র ক্যামেরায়

মানুষের সৃষ্ট এই সকল যন্ত্রমানবরা কি একদিন সভ্যতার সঙ্কট ডেকে আনবে? রাজদণ্ড হাতে তুলে আমাদেরই বানাবে ক্রীতদাস? এমন আশঙ্কা তো রোবট তৈরির জন্মলগ্ন থেকেই করা হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও যন্ত্রমানব তৈরি থেকে পিছিয়ে আসিনি আমরা৷ রোবটের দুনিয়ায় নবতম সংযোজন আমেকা৷ একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অভিব্যক্তিপূর্ণ রোবট’ বলেও অভিহিত করা হচ্ছে৷ তার রসবোধও প্রবল৷ এক দর্শনার্থী তাকে দেখে প্রশ্ন করেছিল, সে সুখী কিনা? তাঁর জবাবে আমেকা বলেছিল, ‘‘আমি সুখী নই। কারণ আমার কোনও অনুভূতি নেই। কিন্তু আমাকে দেখতে সুখীর মতো।” 

এই রোবটটি তৈরি করেছে ‘ইঞ্জিনিয়ারড আর্টস’ নামের এক মার্কিন সংস্থা৷ যা এই মুহূর্তে হিউম্যান-রোবটিক্স টেকনোলজির এক অভিনব নিদর্শন। আমেকার যে ভিডিও ফুটেজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তার সপ্রতিভ আচরণ সত্য়িই আমাদের চমকে দেয়। অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত আমেকা৷ তার অভিব্যক্তি দেখে বোঝা যায়, যে মানুষ নাকি এক যন্ত্রমানবী!

এই সংস্থার এক আধিকারিক মর্গ্যান রো-র কথায়, তাঁদের এমন এক রোবট তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যে মানুষের মুখের সবরকম অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম। এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও, আমেকাকে দেখে তা বোঝার উপায় থাকবে না। তবে তার একজন নিয়ন্ত্রক রয়েছেন বটে। তিনিই আমেকার মুখের সংলাপ ও মৌখিক অভিব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন৷ রো আরও বলেন, ‘‘ একজন মানুষের মুখে কী কী অভিব্যক্তি হতে পারে আমরা প্রথমে তার অ্যানিমেশন তৈরি করেছিলাম। তারপরে আমরা ভাবি কীভাবে যান্ত্রিকভাবে এটা তৈরি করা যায়। শুধু মানুষের মতো দেখতে রোবট নয়, আমেকাকে মানুষের মতো করে তোলাটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য।’’