নয়াদিল্লি: ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতের চন্দ্রযান-২৷ চাঁদের বুক থেকে ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাল চন্দ্রযান-২৷ আর এই ছবিতে জ্বলজ্বল করছে বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী শিশিরকুমার মিত্রের নাম৷ চন্দ্রযান-২-এর পাঠানো চাঁদের পৃষ্ঠে ছবিতে বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী নামে একটি গহ্বরকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷
সোমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের ন’টি গহ্বরের ছবি পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-২৷ সেই ন’টি গহ্বরের নামকরণ করেছে ইসরো৷ যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিশিরকুমার মিত্রের নাম৷ বাঙালি বিজ্ঞানীকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি গহ্বরের নাম বাঙালি বিজ্ঞানীর নামে রাখা হয়েছে৷
কিন্তু কেন এই স্বীকৃতি? জানা গিয়েছে, রেডিওফিজিক্স নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার জন্য প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী শিশির কুমার মিত্র৷ আয়নোস্ফিয়ার ও রেডিওফিজিক্স নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে চাঁদের গহ্বরের নাম বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম এই রাখা হয়েছে৷ শুধু বাঙালি বিজ্ঞানী নন, অরও ন’টি গহ্বরের নাম আরও নয় বিজ্ঞানীর নামে রাখা হয়েছে৷
ইসরো জানিয়েছে, এই মুহূর্তে চন্দ্রযান-২ চাঁদের মাটি থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে চাঁদের বুকে পা রাখবে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযান-২৷ ইতিহাসে সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে চন্দ্রযান-২এর পাঠানো ছবিতে বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম দেখে গর্বিত গোটা বাঙালি৷
গত ২২ জুলাই চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপন করা হয়৷ জানা গিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের বুকে ভারতীয় পা রাখার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ থাকবেন ইসরোর দপ্তরে৷ গত ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-২৷ তারপর থেকে নিখুঁত ভাবে চাঁদের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে ভারতের এই মহাকাশযান৷ এখনও পর্যন্ত কোনও ত্রুটি বা সমস্যা দেখা না দেয়নি বলেও জানানো হয়েছে৷
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান কে শিভন জানিয়েছেন, একেবারে সতেজ রয়েছে চন্দ্রযান-২৷ যানটি যেভাবে কাজ করার কথা ঠিক সেভাবেই কাজ করছে৷ নির্দেশ পালন করে এগিয়ে চলেছে এই যান৷ যদি সব দিক থেকে ঠিকঠাক থাকে তাহলে চাঁদের কক্ষপথ থেকে কয়েকটি মেনুবার পেরিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-২ থেকে ল্যান্ডার ও রোভার চাঁদের মাটিতে পা রাখতে সক্ষম হবে৷