নিউ ইয়র্ক: ভিনগ্রহীদের নিয়ে মানুষের উৎসাহ বরাবরের৷ পৃথিবীর বাইরেও আছে কি আরও এক পৃথিবী? এই রহস্যের সন্ধানে মরিয়া বিজ্ঞানীরা৷ মহাকাশে প্রতিবেশী খুঁজতে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের সামনে একটাই প্রশ্ন, পৃথিবীর বাইরে আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি? অ্যালিয়ানরা যদি অন্য কোনও গ্রহ বা উপগ্রহের বাসিন্দা হয়ে থাকে, তাহলে সেখান থেকে তারা পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছবে কী ভাবে?
আরও পড়ুন- চাঁদের মাটি ছোঁয়ার প্রস্তুতি, যাদবপুরের হাত ধরে চাঁদে নামবে ইসরোর চন্দ্রযান
বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে নীল গ্রহের বাইরে এখনও কোথাও প্রাণের সন্ধান মেলেনি। তবে সাহিত্যিকের কলমে কিংবা সেলুলয়েডে কাল্পনিক ভিন্গ্রহীদের রীতিমতো ভিড়। কল্পনায় ভিনগ্রহীরা বুদ্ধিদীপ্ত৷ তবে তাদের চেহারা খানিকটা অদ্ভূত৷ তাদের কার্যকলাপ কল্পনা করে বহু সিনেমাও তৈরি হয়েছে৷ ভিনগ্রহীদের গল্প লিপিবদ্ধ হয়েছে দু’মলাটেও৷ যা বহির্বিশ্ব নিয়ে মানুষের আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে৷
এখনও পর্যন্ত ভিনগ্রহীদের প্রমাণ না মিললেও, মহাকাশ গবেষকদের একাংশের বিশ্বাস, ভিন্গ্রহীরা আছে৷ একদিন তাদের সঙ্গে এই বিশ্ববাসীর মোলাকাতও হবে৷ এবং সেটা হবে অদূর ভবিষ্যতেই৷ এমনটা ধরে নিয়ে ব্রিটেনে শুরু হয়েছে তার তোড়জোড়। অন্য কোনও গ্রহ থেকে যদি সত্যিই ঝুপ করে পৃথিবীর মাটিতে নেমে আসে কোনও এলিয়ান, তাহলে ‘অতিথি’র সঙ্গে কী ভাবে সাক্ষাৎ করবে মানুষ?
কী ভাবে ভিন্গ্রহীদের মুখোমুখি হতে হবে, সেই পরিকল্পনা পরিকল্পনা চলছে জোড়কদমে৷ শুরু হয়েছে গবেষণা৷ নেতৃত্বে রয়েছেন সেন্ট অ্যানড্রিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন এলিয়ট। তাঁর কথায়, ‘‘পৃথিবীর বাইরে থেকে কখনও কোনও বার্তা আমাদের কাছে এসে পৌঁছবে কিনা, তা আমাদের জানা নেই৷ তবে তেমনটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের যেন অপ্রস্তুতে না পড়ি।’’ বিজ্ঞান, সমাজ এবং রাজনীতি— সব দিক থেকেই ভিন্গ্রহীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত থাকাটা জরুরি। সেই প্রস্তুতি পর্ব সারতেই ব্রিটেনে একটি নতুন গবেষণা দল তৈরি করা হয়েছে৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেটি পোস্ট ডিটেকশন হাব’।
এই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আইন, নীতি এবং দর্শনের বিশেষজ্ঞরা৷ হঠাৎ কোনও এক ভোরে ভিন্গ্রহীরা পৃথিবীতে নেমে এলে তাদের সঙ্গে কী রকম ব্যবহার করতে হবে, কী ভাবে তাদের ভাষা অনুধাবন করে কথোপকথন চালিয়ে যেতে হবে, সে সব নিয়েই আলোচনা করবেন এই বিশেষজ্ঞরা।
ভিন্গ্রহ থেকে কেনও সঙ্কেত এলে, কী ভাবে তার অর্থ উদ্ধার করা হবে, ভিন্গ্রহীদের অস্তিত্ব, কার্যকলাপ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এলিয়ট। সেই গবেষণাকেই নতুন উদ্যমে আরও দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি।
পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মাঝে মধ্যেই আকাশে ধরা দেয় রহস্যময় উড়ন্ত চাকতি। আবার কোনও কোনও এলাকার মানুষ এমন কিছু শব্দ শুনতে পেয়েছেন যা, আক্ষরিক অর্থেই ‘অপার্থিব’। এই সকল অজানা রহস্যের সঙ্গে জুড়ে যায় ভিন্গ্রহীদের নাম। তবে প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ভিন্গ্রহীদের নিয়ে এই ধারণা অমূলক। এই সব রহস্যময় উড়ন্ত চাকতি আসলে মনুষ্যসৃষ্ট ড্রোন বা কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ। ‘অপার্থিব’ শব্দের নেপথ্যেও ভিন্গ্রহীদের যোগসূত্র ধরা পড়েনি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>