কলকাতা: পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে? এই প্রশ্নের উত্তর আজও স্পষ্টভাবে মেলেনি ঠিকই কিন্তু ইঙ্গিত অনেকবার মিলেছে। যদিও তা থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করা যায়নি বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে। প্রাণের মতোই জলের অস্তিত্ব কোথাও আছে কিনা তা নিয়েও চলেছে গবেষণা। পৃথিবী ছাড়া মঙ্গল গ্রহে জলের অস্তিত্ব মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই নিয়ে গবেষণাও এখন বর্তমান। তবে এতেই সন্ধান থেকে নেই। আর সেই সন্ধান চলতে চলতেই শনির চাঁদ ‘এনসেলাডাস’ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ৩৫ হাজার কিমি বেগে ধেয়ে আসছে মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতু, আকার জানাল নাসা
সম্প্রতি নাসা দাবি করেছে যে, ‘এনসেলাডাসে’ প্রাণ থাকতে পারে কারণ সেখানে নাকি জলের সন্ধান মিলেছে। মূলত শনি গ্রহের এই চাঁদ মোটা বরফের আস্তরণে ঢাকা। সেখানে একটি ফাটল সৃষ্টি হয়েছে তা তাতেই নাকি জলের মতো বস্তু দেখা গিয়েছে। নাসা দাবি করছে, এই জলের মতো পদার্থ আসলে ৯৮ শতাংশ জলই, বাকি ২ শতাংশ রয়েছে হাইড্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস। এই জলের সন্ধান পাওয়ার পরেই অনুমান করা হচ্ছে যে সেখানে থাকতে পারে প্রাণ। এখন আছে বা হয়তো এর আগে কখনও ছিল। তাই শনির এই চাঁদ নিয়ে এখনও বিরাট হারে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সার্বিকভাবে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নাসা মনে করছে, ‘এনসেলাডাসে’ সমুদ্রপৃষ্ঠে ব্যাকটেরিয়ার মতো সরল জীবন সম্ভব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত কোনও প্রমাণ পায়নি নাসা যে সেখানে প্রাণ আছে। তবে প্রাণ থাকার জন্য যা প্রয়োজনীয় সেই সব উপাদান মজুত।
মূলত শনি গ্রহের রয়েছে ৮২ টি উপগ্রহ, কিন্তু এর মধ্যে নাম দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫৩ টি উপগ্রহের। আবার আকার বিবেচনায় ২৯ টি উপগ্রহকে মূল উপগ্রহ ধরা হয় । শনির ‘টাইটান’ উপগ্রহটি সবচেয়ে বড়। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের সঙ্গে তুলনা করলে এটি ব্যাসে প্রায় ১৪৮ শতাংশ বড়। এদিকে ‘এনসেলাডাস’ তুলনায় আকারে ছোট হলেও পৃথিবীর চাঁদের থেকে ১৫ শতাংশ বড়। এই দুটি ছাড়াও শনির আর বেশ কয়েকটি চাঁদ হল, প্যান, প্যান্ডোরা, মিমাস, প্যালেন, রিয়া, টেথিস, অ্যাপেটাস, ডিওন, ক্যালিপ্সো প্রভৃতি।