চলতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জয়ী হয়েছেন আমেরিকার ডেভিড জুলিয়াস এবং আর্দেম পাতাপাউশিয়ান। নতুন পেনকিলার তৈরির পথ প্রশস্ত করতে তিনি আবিষ্কার করেছেন তাপমাত্রা এবং স্পর্শের জন্য রিসেপ্টর অর্থাৎ অঙ্গ বা কোষ, যা আলো বা তাপমাত্রার মতো বাহ্যিক উদ্দীপকে সাড়া দেয়।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লাল মরিচ থেকে ক্যাপসেসিন নামক সক্রিয় উপকরণ ব্যবহার করে স্নায়ুর উদ্দীপককে চিহ্নিত করেছেন সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলিয়াস। যা চামড়াকে তাপমাত্রায় সাড়া দিতে খুবই সাহায্য করে থাকে।
অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোল্লার স্ক্রিপস রিসার্চে মলিকিউলার বায়োলজিস্ট এবং নিউরো-সায়েন্টিস্ট আর্দেম আবিষ্কার করেছেন কোষে ভিন্ন ধরনের চাপ সংবেদনশীল উদ্দীপক। যা যান্ত্রিক উদ্দীপকে সাড়া দেয়। তাঁদের এই আবিষ্কার কীভাবে গরম, ঠান্ডা এবং যান্ত্রিক শক্তি স্নায়ুর উত্তর দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে থাকে তা জানতে সাহায্য করবে এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রতি আকর্ষণ ও মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে সুইডেনের ক্যারোলিঙ্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি।
এই আবিষ্কার সত্যিই প্রকৃতির অন্যতম একটি বিষয়কে বাস্তবে সামনে এনেছে। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অসামান্য বলেছেন নোবেল কমিটির সেক্রেটারি- জেনারেল থমাস পার্লমান।