ওয়াশিংটন: কল্পবিজ্ঞানের গল্পে বেশীরভাগ এলিয়েন বা অন্য গ্রহবাসীর ঠিকানা মঙ্গল গ্রহ। সৌরমণ্ডলে পৃথিবীর ঠিক পরের গ্রহটি যুগে যুগে মানুষকে টেনেছে তার রহস্যের আকর্ষণে। লাল এই গ্রহ তার রঙের মতই অদ্ভূত রহস্যে মোড়া। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা ও বাদবিসম্বাদ দীর্ঘদিনের। আর সেই সমস্যা সমাধানের জন্য এবার লালগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দিচ্ছে নাসার বিশেষ যান Perseverance। সেখানে প্রাণের অস্তিত্ত্ব খতিয়ে দেখবে এই বিশেষ যানটি।
মঙ্গলগ্রহ নিয়ে চিরকালই আগ্রহ রয়েছে সাধারণ মানু্ষের। একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানীর মতে প্রাণ রয়েছে এই গ্রহে। এমনকি জল থাকার কথাও বলেন তাঁরা। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও পাকাপোক্ত প্রমাণ মেলেনি। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান অনুযায়ী সৌরমণ্ডলে পৃথিবীর ভীষণ কাছাকাছি কোনো গ্রহের পরিবেশ যদি হয় তবে তা মঙ্গল গ্রহের। ফলের সৌরজগতে আর কোনো গ্রহের যদি প্রাণের ঠিকানা পাওয়া যেতে পারে তা হতে পারে মঙ্গলেই। কিন্তু প্রাণের সেই খোঁজ এখনও প্রমাণের অপেক্ষাতেই।
প্রাণের অনুকূল পরিবেশ থাকলেও কেন মঙ্গলে এখনও প্রাণের সন্ধান মেলেনি বা আদৌ কোনদিননো সেখানে প্রাণ ছিল কিনা সেই বিষয় নিয়েই বিজ্ঞানীরা নানা জটিল গবেষণায় ডুবে রয়েছেন। তবে প্রমাণ কিন্তু অধরাই। সেই প্রমাণের খোঁজেই মঙ্গলের প্রাণের সন্ধান করতে এবার নাসার উদ্যোগে লালগ্রহে পাড়ি দিচ্ছে মঙ্গলযান PERSERVERANCE. এই যানের মূল লক্ষ্যই থাকবে মঙ্গলে প্রাণের বা প্রাণের অনুকূল কোনও চিহ্ন বা আবহাওয়ার সন্ধান করা। এই মিশনে মোট ৩টি ল্যান্ডিং সাইট চিহ্নিত করা হয়েছে। জেজেরো ক্রেটার, এন ই সারটিস এবং কলম্বিয়া হিলস।
এই মিশনে ব্যবহৃত উন্নত অ্যানালাইজারের মাধ্যমে PERSERVERANCE-এর পাঠানো প্রতিটি তথ্যের অনুপুঙ্খ যাচাই করা হবে। মিশনের প্রাপ্তি বা তার ফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে ২০২২ সাল অবধি। আপাতত গোটা বিশ্ব তাকিয়ে নাসার মঙ্গলযানের কক্ষপথের দিকে। যেখানে রয়েছে নানা লুকিয়ে থাকা তথ্য সন্ধানের আশ্বাস, থাকছে আগামীতে নতুন প্রাণের খোঁজ মেলার ভরসা।