মাত্র চার বছর আগে সমুদ্রের জল থেকে উঠে এসেছিল সেই দ্বীপ। তাকে ঘিরে দেখা দিয়েছে বিস্তর রহস্য। রহস্যময় এই দ্বীপকে নিয়ে বিভ্রান্তিতে বিজ্ঞানীরাও।
বিজ্ঞান বিষয়ক গণমাধ্যম ‘লাইভসায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে স্যাটেলাইট মারফত বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গার কাছে এক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সেখানে একটি দ্বীপ জেগে উঠছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি নাগাদ অগ্ন্যুৎপাত শেষ হয় এবং দেখা যায়, হুঙ্গা টোঙ্গা ও হুঙ্গা হা’আপেই নামের দু’টি পুরনো দ্বীপের মাঝখানে এই নতুন দ্বীপটি জেগে উঠেছে।
দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য ড্যান স্লেব্যাক নামের এক বিজ্ঞানী নাসা থেকে রিমোট সেন্সিং ডেটা ব্যবহার করে এই অগ্ন্যুৎপাতকে লক্ষ করছিলেন। তিনি সশরীরে ওই দ্বীপটি দেখতে চান।তিনি জানান, এই দ্বীপটি এক আশ্চর্য দ্বীপ। সাধারণত এই ধরনের দ্বীপ কয়েক মাস জেগে থাকে। তার পরে তা সমুদ্রে তলিয়ে যায়। কিন্তু এই দ্বীপটি টিকে থাকে চার বছর। গত দেড়শো বছরে এই জাতীয কোনও দ্বীপ এতদিন টিকে থাকেনি।
গত সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞানীরা দ্বীপে পা রাখেন। স্যাটেলাইট চিত্র থেকে তাঁরা দ্বীপটির যেমন পরিচয় পেয়েছিলেন, দ্বীপটি তেমন নয়। এর উত্থান ভৌগোলিক ভাবে বেশ বিস্ময়কর। তাঁরা সেখানকার মাটি ও অন্যান্য নমুনা নিয়ে নাসা-য় ফিরে যান।
কেন এই দ্বীপের প্রতি বিজ্ঞানীরা এত আগ্রহী? স্লেব্যাক জানিয়েছেন, দ্বীপটি থেকে তাঁরা মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেতে পারন। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা সত্য। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলে যখন জল ছিল, তখন এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট দ্বীপ সেখানেও ছিল। পৃথিবীর এই দ্বীপটি সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান মঙ্গলের জলশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা যাবে।