নয়াদিল্লি: পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত। দেশে জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ি৷ পৃথিবীর ১৯৪টি দেশের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই দেশে স্রেফ গাড়ি দূষণে ৩ লক্ষ ৫০হাজার শিশুর হাঁপানি রোগে ভুগছে৷
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গাড়ি দূষণের জেরে হাঁপানির আক্রমণ সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে চিনে৷ সংখ্যাটা ৭ লক্ষ ৬০ হাজার৷ সারা পৃথিবীর মধ্যে চিন শিশু জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের (NO2) ঘনত্ব এখানে তৃতীয় সর্বোচ্চ, যা গাড়ি দূষণের নির্দেশ করে৷
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সুসান সি অ্যানেনবার্গ বলেন, “আমাদের গবেষণায় বলা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী শহরগুলিতে বায়ু দূষণ হ্রাস করলেই শিশুদের হাঁপানি প্রতিরোধ করা যেতে পারে।” গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১০ লক্ষ শিশু প্রতি ট্রাফিক দূষণে হাঁপানির ভোগে ১৭০ টি শিশু৷ হাঁপানি রোগের ১৩ শতাংশই দেখা যায় গাড়ি দূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত৷
দক্ষিণ কোরিয়াতে ৩১ শতাংশ ট্রাফিক দূষণের সঙ্গে শৈশবকালীন হাঁপানি বা অ্যাস্থমার আক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে৷ তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে ভারত অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় কিছুটা হলেও ভাল অবস্থায় রয়েছে৷ কারণ অন্যান্য দূষণের স্তরের মাত্রা বেশি হলেও ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এদেশে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের (NO2) স্তর ইউরোপীয় ও মার্কিন শহরগুলির থেকে তুলনামূলক কম বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।