নয়াদিল্লি: ২০২২ সালে গগনযান প্রকল্পে তিন ভারতীয়কে মহাকাশে ৭ দিনের জন্য পাঠাতে তহবিল মঞ্জুর কেন্দ্র৷ মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রকল্পে খরচ ধার্য করা হয়েছিল ১২,৪০০ কোটি টাকা৷ পরে, তা কাটছাট করে ১০,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে৷ মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতেই গগনযান প্রকল্পের অমুদন কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, এই গগনযান পরিকল্পনার জন্য খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিকল্পনার মধ্যে তিনটি মহাকাশযান তৈরি করা হবে। দুটি মহাকাশযান তৈরি হবে, যা মানুষ ছাড়া মহাকাশে যেতে পারে। আর একটি মহাকাশযান তৈরি হবে, যা মানুষ নিয়ে মহাকাশে যাবে। মানুষ-সহ মহাকাশযানটির মধ্যে কেবলমাত্র তিন জন মহাকাশচারী যাত্রা করতে পারবেন।
কী এই গগনযান প্রকল্প? জানা গিয়েছে, তিন দশকের গবেষণার পর ২০১৪-র ডিসেম্বরে GSLV Mk-III বা LVM-3-এর সফল পরীক্ষা চালানো হয়৷ গত বছরের জুন মাসে LVM-3-র মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে GSAT-19 উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছে৷ এরপরই LVM-3-র মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়৷
২০০৪ সাল থেকে থাকে এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছিল ইসরোর। ইসরোর পরিকল্পনা কমিটির কাছে শুরুতে এ ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট সময়রেখা ছিল না। তবে প্রাথমিক আলোচনায় ২০১৫ নাগাদ টার্গেট ঠিক হয়েছিল। সম্প্রতি, ২০১৬ সালের মে মাসে সরকার লোকসভাকে জানায়, সাম্প্রতিক ভবিষ্যতে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা তাদের নেই৷ পরে, গত ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে সুখবটা দিয়েই দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ঘোষণা করেন, ২০২২ সালে গগনযান প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ইসরো৷ ঘোষণার পর আজ ইসরোকে অনুমতি দেয় কেন্দ্র৷
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রকল্প ইসরো-র এতদিনের অন্যান্য সফল প্রকল্পের থেকে অনেকটাই পৃথক। চাঁদে বা মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানোর তুলনাতেও এই প্রকল্প অনেক বেশি কঠিন। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য ইসরোকে এমন একটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, যাতে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে মহাকাশযান শূন্যে যাওয়ার পরে সেটিকে আবার ফিরিয়ে আনা যায়। একই সঙ্গে এমন একটা মহাকাশযান বানাতে হবে যাতে মহকাশচারী মানুষ মহাশূন্যে পৃথিবীর মতো অবস্থায় থাকতে পারেন। গত কয়েক বছরে ইসরো এসব নিয়ে বেশ কিছু সফল পরীক্ষা করলেও, এ সংক্রান্ত আরও অনেক পরীক্ষা বাকি রয়েছে৷