নয়াদিল্লি: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা৷ আজ মধ্যরাতেই ইতিহাসের মুখোমুখি হতে তৈরি চন্দ্রযান-২৷ চাঁদের বুকে দখল নিতে তৈরি ভারত৷ এখনও পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে বলে জানিয়েছে ইসরো৷ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে বিক্রম৷ আজ রাত ১ টা ৪০ থেকে একটা ১টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে চাঁদের মাটিতে পা রাখবে ল্যান্ডার বিক্রম৷ সেখান থেকেই বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান৷
চতুর্থ দেশ হিসেবে আজ চাঁদের বুকে পা রাখতে চলেছে ভারত৷ ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আজ ইসরোর দপ্তরে উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী৷ মোদির সঙ্গে ইসরোর ঐতিহাসিক মুহূর্তের মুহূর্তের সাক্ষী থাকবে বাংলার দুই পড়ুয়া সহ-৭৫ পড়ুয়া৷ ইতিহাসের মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী আজ টুইটারে জানিয়েছেন, দেশের ১৩০ কোটি জনতা স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে আজ৷ ভারতের এই চন্দ্র অভিযান ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে গর্বিত করে তুলবে৷ ভারত যখন চাঁদের বুকে পা রাখার প্রহর গুনছে, ঠিক তখনই চাঁদের বুকে এক অদ্ভুত জাতীয় বস্তু খুঁজে পেয়েছে চিন৷ চীনের পাঠানো চন্দ্রযান চ্যাং ৪-এর পাঠানো তথ্যে চাঁদের বুক থেকে জেলি জাতীয় কিছু বস্তুর সন্ধান পেয়েছে৷ তবে, বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি চায়নার প্রশাসন৷
অন্যদিকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম বিশ্বের কোন দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের বুকে পা রাখবে৷ চাঁদের দক্ষিণাংশের সমতল জমি চিহ্নিত করে বিক্রম সেখানে পদার্পণ করবে৷ এই মুহূর্তে চন্দ্রযান ২ ল্যান্ডার চাঁদের মাটি থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার উপরে৷ ৫০০-৬০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ছুটে চলেছে যন্দ্রযান৷ ইসরো সূত্রে খবর, ল্যান্ডারের গতিপথ ধীরে ধীরে কমিয়ে আজ রাতেই চাঁদের বুকে নামানো হবে৷ ফলে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা ল্যান্ডারের গতি ধীরে ধীরে কমিয়ে চাঁদের বুকে নামানো এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ৷ অগ্নিপরীক্ষা৷
কারণ, চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার নামানোর সময় যদি কোন ভূল-ত্রূটি ঘটে তাহলে অভিযান ব্যর্থ হতে পারে৷ তবে ল্যান্ডাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামানোর পছে হাঁটছেন বিজ্ঞানীরা৷ ইতিমধ্যেই ল্যান্ডারকে চাঁদের বুকে নামানোর বিষয়ে প্রোগ্রামিং সেট করে দেওয়া হয়েছে৷ তাতে ল্যান্ডের গতি কমিয়ে ধীরে ধীরে চাঁদের বুকে নামিয়ে আনা এখন প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য৷ চাঁদের বুকে পা রাখার ১৫ মিনিট পর চাঁদের মাটি থেকে ছবি ও তথ্য পাঠাতে শুরু করবে রোভার রোভার প্রজ্ঞান৷ রোভার প্রজ্ঞানের চাকার নীচে থাকবে অশোক স্তম্ভের প্রতীক ও ইসরোর লোগো৷