বিদায় বিক্রম, প্রত্যাশা বাড়াচ্ছে অরবিটার, বুক বেঁধেছে ইসরো

নয়াদিল্লি: আর আশা নেই৷ সময়সীমা শেষ৷ নিখোঁজ বিক্রমকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হলেও তাকে বাঁচাতে পারেনি ইসরো ও নাসার বিজ্ঞানীরা৷ চাঁদের বুকেই ল্যান্ডার বিক্রমকে বিদায় জানিয়ে এবার অরবিটারকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ১৩০ কোটি জনতার প্রত্যাশা আগলে রাখা ইসরো৷ জানা গিয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের ১৪ দিনের জীবনকাল শেষ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে তাকে আর নতুন করে

বিদায় বিক্রম, প্রত্যাশা বাড়াচ্ছে অরবিটার, বুক বেঁধেছে ইসরো

নয়াদিল্লি: আর আশা নেই৷ সময়সীমা শেষ৷ নিখোঁজ বিক্রমকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হলেও তাকে বাঁচাতে পারেনি ইসরো ও নাসার বিজ্ঞানীরা৷ চাঁদের বুকেই ল্যান্ডার বিক্রমকে বিদায় জানিয়ে এবার অরবিটারকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ১৩০ কোটি জনতার প্রত্যাশা আগলে রাখা ইসরো৷

জানা গিয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের ১৪ দিনের জীবনকাল শেষ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে তাকে আর নতুন করে জীবিত করার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ ফলে ল্যান্ডার বিক্রমকে বিদায় জানিয়ে আপাতত অরবিটারকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা৷

ঘোষণা করা হয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় নির্দিষ্ট কক্ষপথে সঠিকভাবে কাজ করে চলেছে অরবিটার৷ এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পড়েনি৷ বাধ্য ছেলের মত চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ইসরোর পাঠানো অরবিটার৷ অরবিটারের পাঠানো থার্মাল ইমেজের মাধ্যমেই ল্যান্ডার বিক্রমের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল৷ অরবিটালের পাঠানো ছবি থেকে বিক্রমের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করা যায় কি না তা নিয়ে টানা ১৪ দিন গবেষণা চালিয়ে গিয়েছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু সাফল্য আসেনি৷

বিক্রমকে বাঁচানোর না গেলেও এবার অরবিটারকে কাজে লাগিয়ে চাঁদের রহস্যভেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা৷ অরবিটারের পাঠানো ছবি ইতিমধ্যেই পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে অরবিটার৷ বিজ্ঞানীদের আশা, অরবিটারকে কাজে লাগিয়ে এবার চাঁদের রহস্যভেদ করবেন তাঁরা৷ ইসরোর তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, যাত্রাপথে চন্দ্রযানের জ্বালানি ব্যবহার অত্যন্ত কম হওয়ায় অরবিটারের আড়াই গুণ বেশি জ্বালানি রয়েছে৷

ফলে, অরবিটার ৭ বছর ধরে চাঁদের ১০০ কিলোমিটার উপর থেকে নজরদারি চালাতে পারবে৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অন্তত দু’বছর পূর্ণ মাত্রায় কাজ করবে অরবিটার৷ চাঁদের বুকে নজরদারি চালিয়ে অরবিটার সেখানকার জলবায়ু, শুষ্ক বরফ ও খনিজ পদার্থ সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে৷ আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা শুরু করবেন বিজ্ঞানীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − six =