ভূমিকম্পে কাঁপল গোটা লাল মাটির দেশ

কলকাতা: কেঁপে উঠল মঙ্গলগ্রহ। পৃথিবীর ভূ-কম্পনের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু, মঙ্গলে কম্পন? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হ্যাঁ মঙ্গলেও কম্পনের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা প্রেরিত ‘ইনসাইট’-এর কম্পন পরিমাপক একটি যন্ত্রে এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়েছে। ‘ইনসাইটে’র সেই যন্ত্রটির নাম সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্ট্যারিয়র স্ট্রাকচার (এসইআইএস)। এটি ফ্রান্সে তৈরি করা হয়েছে। নাসা এবং ফ্রান্সের

ভূমিকম্পে কাঁপল গোটা লাল মাটির দেশ

কলকাতা: কেঁপে উঠল মঙ্গলগ্রহ। পৃথিবীর ভূ-কম্পনের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু, মঙ্গলে কম্পন? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হ্যাঁ মঙ্গলেও কম্পনের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা প্রেরিত ‘ইনসাইট’-এর কম্পন পরিমাপক একটি যন্ত্রে এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়েছে। ‘ইনসাইটে’র সেই যন্ত্রটির নাম সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্ট্যারিয়র স্ট্রাকচার (এসইআইএস)।

এটি ফ্রান্সে তৈরি করা হয়েছে। নাসা এবং ফ্রান্সের যে সংস্থাটি ওই যন্ত্রটি বানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল মঙ্গলের মাটিতে এই ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে যেটির মাত্রা ছিল প্রায় ২.৫-এর কাছাকাছি।

এর আগে চাঁদেও কম্পনের মাত্রা পরিমাপ করেছিল নাসা। এবিষয়ে বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৬৯ সালে অ্যাপেলো মিশনের সময় কম্পন মাপক একটি যন্ত্রকে চাঁদের মাটিতে রেখে আসা হয়েছিল। ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সেই যন্ত্রটি সক্রিয়ভাবে চাঁদে একাধিক কম্পনের তথ্য দিয়েছিল। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে হাজারেরও বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছিল চাঁদের মাটিতে। এবার একইভাবে মঙ্গলের মাটির কম্পনও পরিমাপ করার উদ্যোগ নেয় নাসা। সেই উদ্দেশে ‘ইনসাইট’ যানে এসইআইএস যন্ত্রটি পাঠানো হয়।

নাসার এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ করে জেট প্রপালশ্ন ল্যাবরটরি (জেপিএল)। তাদের এবং ফ্রান্সের সংশ্লিষ্ট সংস্থার (যারা যন্ত্রটি বানিয়েছিল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কম্পন শুধুমাত্র একদিন হয়নি। দফায় দফায় চারদিন এই কম্পন অনুভূত হয়েছে লালগ্রহের মাটিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − seven =