ঘণ্টায় প্রায় ৩৫ হাজার কিমি গতিতে পৃথিবীর দিকে তেড়ে আসছে গ্রহাণু! সতর্ক করল নাসা

ঘণ্টায় প্রায় ৩৫ হাজার কিমি গতিতে পৃথিবীর দিকে তেড়ে আসছে গ্রহাণু! সতর্ক করল নাসা

কলকাতা: মহাকাশে অশনি সঙ্কেত! প্রবল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশালাকার এক গ্রহাণু। এ নিয়ে আগাম সতর্ক করল মর্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা। সূত্রের খবর, পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসতে পারে এই গ্রহাণুটি। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন, ‘অ্যাস্টেরয়েড ২০২৩ জেডি’। বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে এটি৷ 

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুগুলির সাধারণত ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু ‘অ্যাস্টেরয়েড ২০২৩ জেডি’-র ক্ষেত্রে সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা৷ ৫২ ফুট দৈর্ঘ্যের সেই গ্রহাণু যদি পৃথিবীপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে, তার ফল হবে ভয়ঙ্কর। কারণ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ‘অ্যাস্টেরয়েড ২০২৩ জেডি’টি পড়ছে বিপজ্জনক মানদণ্ডে। তাই প্রথম থেকেই এই গ্রহাণুটির উপর আলাদা করে নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

‘দ্য স্কাই ডট অর্গ’ বলছে, চলতি বছর ৭ মে প্রথম ‘অ্যাস্টেরয়েড ২০২৩ জেডি’ গ্রহাণুটি দেখা যায়। এই ধরনের গ্রহাণু অ্যাটেন গোষ্ঠীভুক্ত। তাদের দাবি, গ্রহাণুটির গতিপ্রকৃতি একেবারেই সুবিধার নয়।  তাই, পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছে যে সে কী করবে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা করা বেশ কঠিন৷ যদিও গ্রহাণুর বহর দেখে বিশেষ চিন্তিত নন বিজ্ঞানীরা। তবে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে নারাজ নাসা।

এদিকে নাসা আরও জানাচ্ছে, পৃথিবীর দিকে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে বড় আকারের এক গ্রহাণু। পৃথিবীর গা ঘেঁষে চলে যাওয়ার কথা অতিকায় এই গ্রহাণুটির। এটির নাম ২০২৩ সিএল৩। এটি আকারে প্রায় ৬৫০ ফুট চওড়া। ঘণ্টায় প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার বেগে সেটি ধেয়ে আসছে নীল গ্রহের দিকে৷  নাসা জানিয়েছে, আগামী ২৪ মে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে ওই গ্রহাণুটি। পৃথিবী থেকে মাত্র ৭২ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়েই চলে যাবে এটি। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার আশঙ্কা, হঠাৎ করে গতিপথ বদলে পৃথিবীর আরও কাছাকাছি চলে আসতে পারে ২০২৩ সিএল৩। তাতে অবশ্য ক্ষয়ক্ষতির বিশেষ সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির দিকে নজর রাখছেন৷ 

অতীতে এই ধরনের গ্রহাণু বহুবার পৃথিবীতে আছড়‌ে পড়েছে৷ যা পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেরানো ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এহেন মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়ার কথা দাবি করেন বিজ্ঞানীরা।