শিল্পক্ষেত্রে বাড়ছে AI নির্ভরতা, কোভিড পরবর্তী সময়ে অন্য রূপ

কলকাতা: আধুনিক প্রযুক্তির ওপর মানুষ যে আগের থেকে অনেক বেশি নির্ভর করতে শুরু করেছে তা বোঝা যায়। কাজের ক্ষেত্রে হোক বা অন্য কোনও কারণে বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স নিয়ে মানুষের মাতামাতির শেষ নেই। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী সময় থেকে যখন মানুষের কাজের টানাটানি শুরু হয়েছে, তখন থেকেই যেন এআই নির্ভরতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূল কারণ, কাজের বদলে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে না সেভাবে। আর ঠিক এটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সমাজের জন্য। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে ক্রমশ বাড়ছে এআই নির্ভরতা।
সাধারণ কোনও কাজ যেমন লেখা, আঁকা এসবের ক্ষেত্রে তো আছেই, তবে এআই সবথেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে শিল্পক্ষেত্রে। শিল্প উপদেষ্টা সংস্থা পিডব্লুসি’র একটি সমীক্ষা বলছে, ২০২০ সালের পর থেকে এই মুহূর্তে উৎপাদন ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের হার ২০ শতাংশ বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি, পণ্য পরিবহণ ও মজুতকরণ এবং সাইবার নিরাপত্তা, এইসব ক্ষেত্রে মূলত এআই-কে কাজে লাগানো হচ্ছে। তবে শুধু এই ক্ষেত্রে নয়, মিডিয়া, টেলিকম সংস্থার কাজেও এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রাধান্য বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে। হিসেব করলে দেখা যায়, এই ঘরানায় গত তিন বছরে ১৫ শতাংশ বেড়েছে এআই ব্যবহার। আর ৭ শতাংশ বেড়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এই আধুনিক প্রযুক্তি থেকে বাদ পড়েনি পর্যটন ক্ষেত্রেও। সেখানেও ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করছে এআই।
সম্প্রতি আবার কলকাতার এক কর্মী দাবি করেছেন যে তাঁর শেষ কয়েক মাসে ৯০ শতাংশ উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার সৌজন্যে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স। তিনি জানান, এক সংস্থায় কপি রাইটার হিসেবে কাজ করে তিনি মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতেন। এখন অন্তত ৯০ শতাংশ কাজ তার কাছে আর আসে না। AI, ChatGPT দিয়েই কাজ সেরে নিচ্ছে অফিস বলে দাবি তাঁর।